ডিসেম্বর হুঁশিয়ারির পর এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা গেল এনআইএ হুঁশিয়ারি। গত কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারী বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে ডিসেম্বরেই রাজ্যে বড় কোনও পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। এবার, সেখান থেকে সামান্য সরে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁর মুখে শোনা গেল এনআইএ হুঁশিয়ারি।
বৃহস্পতিবার 'হার্মাদ মুক্ত দিবস'-এ খেজুরিতে সভা ও মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আজ থেকে ১২ বছর আগে ২০১০ সালে এই দিনেই খেজুরি থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। সেই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সেই থেকে প্রতিবছর খেজুরিতে 'হার্মাদ মুক্ত দিবস' পালন করেন শুভেন্দু। কিন্তু, এখন তিনি বিজেপিতে। সম্প্রতি, খেজুরির ঘোলাবাড়ে এলাকায় বিজেপি কর্মী সুরজকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী শেখ ইয়াসিনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই শুভেন্দু টেনে আনেন এনআইএর প্রসঙ্গ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'খেজুরিতে ঘোলাবাড়ের বিজেপি কর্মী সুরজকে শেখ ইয়াসিন নামে কেউ একজন মারধর করেছে। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, যদি তাঁরা উপযুক্ত ব্যবস্থা না-নেন, তবে ১ ডিসেম্বর খেজুরিতে আসব। বুঝিয়ে দেব শুভেন্দু অধিকারী কে। এনআইএ সবে কাজ শুরু করেছে। অপেক্ষা করুন, সবে ১২টা বাজে।'
আরও পড়ুন- রাহুলের ‘ভারত জোড়’ যাত্রা নিয়ে কাশ্মীরে সাজো সাজো রব, হাঁটবেন ফারুকও
শুভেন্দুর আচমকা এনআইএর প্রসঙ্গ তোলার কারণ, গত ৩ জানুয়ারি খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে অনুপ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী মারা যান। বেশ কয়েকজন আহত হন। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক এনআইএ তদন্তের দাবি জানান। তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এরপরই বিস্ফোরণের তদন্তভার নিয়ে এনআইএ জনকা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সমরশংকর মণ্ডল-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। সেই প্রসঙ্গই বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবারই শুভেন্দুর পালটা খেজুরিতে হার্মাদ মুক্ত সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ, অখিল গিরি-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব। সভায় কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, 'শুভেন্দুর কনভয়ে বোমা এনে এলাকাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।' আর অখিল গিরি অভিযোগ করেন, 'কাকে কী বলতে হয়, শুভেন্দুর সেই ভাষাজ্ঞান নেই।'