মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিরাট 'তথ্য' ফাঁস করলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লির রাজনীতি থেকে তাঁর আচমকা 'বিদায়' নেওয়ার পিছনে তৃণমূল সুপ্রিমোকেই 'দায়ী' করেছেন বিরোধী দলনেতা। প্রকাশ্য সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই ফের একবার রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা বিজেপি নেতার।
Advertisment
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর জেরে ওই কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়। সাগরদিঘিতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন হতে চলেছে। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়ছেন দিলীপ সাহা। অন্যদিকে, তৃণমূলের হয়ে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দলীয় প্রার্থী দিলীপ সাহার হয়ে প্রচারে গিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লির রাজনীতি থেকে তাঁকে সরিয়ে কেন রাজ্যের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনেছিলেন, তার কারণও এদিন খোলসা করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'দিল্লিতে আমার পরিচিতি বাড়ছিল। তাই মমতা রাজ্যে ডেকে নেন। আমার পরিচিতি বাড়ছিল বলেই ফিরতে বলেছিলেন মমতা। আমার জনপ্রিয়তা বাড়ুক, এটা উনি চাননি।'
বিধায়ক হওয়ার আগে তমলুকের সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে বিধায়ক পদে দাঁড় করিয়েছিলেন। ভোটে জেতার পর শুভেন্দুকে রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীও করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী।
সাগরদিঘির নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু এদিন তুলোধনা করেছেন রাজ্যের শাককদলকেও। বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, 'তৃণমূলের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে বিজেপির কোনও বিকল্প নেই। আরও ৪-৫ শতাংশ ভোট পেলেই বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি করা সময়ের অপেক্ষা। চারিদিকে আওয়াজ, চোর ধরো জেল ভরো।'