KMDA-Suvendu: কলকাতা পুরসভা তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার বেআইনি জলাজমি ভরাট এবং বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গার্ডেনরিচের ভয়াবহ দুর্ঘটনা এই বেআইনি জলাজমি ভরাট আর বেআইনি নির্মাণের ফল।
সোমবার এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'কেএমডিএ এলাকাজুড়ে হরিদেবপুর-জোকা পর্যন্ত বা গ্রেটার ক্যাটকাটায় তৃণমূল আসার পর থেকে কোথাও ছোট ডোবা পুকুর, বেহালার চড়িয়াল খাল, কালীঘাটের নালা অথবা দত্তাবাদের জলাজমি হোক, ভরাট করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কয়েক হাজার পুকুর বোজানো হয়েছে। কাউন্সিলর, স্থানীয় পুলিশ এবং কর্পোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটির মাথা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লোকজন এইসব ঘটনায় জড়িত। শুধুমাত্র মেটিয়াবুরুজ-গার্ডেনরিচেই ৮০০ বেআইনি নির্মাণ তৈরি হয়েছে। এই সব নির্মাণের কনভারশন, মিউটেশন কোনও কাগজপত্রই নেই। এই সব নির্মাণগুলো সিইএসসি থেকে চুরি করে বিদ্যুতের সমস্যা মেটায়। তপসিয়ার গুলশন কলোনি থেকে শুরু করে নজর রাখলে দেখা যাবে কর্পোরেশনের ১২ বছর আগের ম্যাপের সঙ্গে বর্তমান ম্যাপের কোনও মিল নেই।'
শুভেন্দু অধিকারী জানান, শামস ইকবাল (অনিল) পাঁচ কোটি টাকার দামী গাড়ি চেপে ঘুরে বেড়ান। তপসিয়ার তৃণমূল ভবনের কাছে গেলেই দেখবেন প্রথমে জলাজমি কচুরিপানা দিয়ে ভরাট হচ্ছে। তারপর ওই ধরনের জলাজমি টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এভাবেই চলে ভরাটপর্ব। জাভেদ খানের এলাকায় এসব চলছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করালেই সব ধরা পড়ে যাবে। গার্ডেনরিচে এই মৃত্যু আসলে খুন। যার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী, ফিরহাদ হাকিম ও শামস ইকবাল বা অনিল প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমি শামস ইকবালকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আমি অনুমোদিত বাড়িগুলোর তালিকা তৈরি করতে আরটিআই করব। দক্ষিণ কলকাতায় একটা পাতাও ফিরহাদ হাকিম বা তৃণমূল কংগ্রেস অথবা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের বাইরে পড়ে না।'
আরও পড়ুন- ডিজি পদে রাজীব কুমারের উত্তরসূরি কে? জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
শুভেন্দু অধিকার আরও অভিযোগ করেন, 'রামপুরহাটের বগটুই থেকে রাজ্যের সর্বত্র সংখ্যালঘুদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। আর, ভূমি মাফিয়াদের তুলে ধরেছে এই তৃণমূল সরকার। এই জঙ্গলরাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি লড়াই করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করার জন্য নাগরিকদের কাছে আহ্বান জানাব। আমরা নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে আগামিদিনে রাজ্যের অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াব। গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাগ্রস্ত অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনের পর বর্তমানে সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে মদের দোকান বেড়েছে। পাড়ায় লটারির দোকান হয়েছে। কিন্তু, গার্ডেনরিচের ঘটনার মত বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও কিছু করেননি। আগামিদিনেও করবেনও না। আমরা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।'