Advertisment

'দিল্লির প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই ছিল না, এমবিএ সার্টিফিকেট কিনেছিলেন,' অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি কোনও কয়লা পাচারকারীকে ফোন করেননি। তিনি সকলের ফোন ধরেন। কেউ তাঁকে ফোন করে থাকলে তিনি হয়তো ধরে ফেলেছিলেন। এটা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Abhishek_Suvendu

রাজ্যের চাকরিক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার সঙ্গেই নিযুক্ত কর্মীদের পরীক্ষায় পাশের সার্টিফিকেট নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। তা নিয়ে সরগরম বাংলা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতের নির্দেশে গোটা বিষয়টির তদন্ত করছে। তারই মধ্যে এবার খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সার্টিফিকেট ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisment

বুধবার শুভেন্দু বলেন, 'টাকা দিয়ে আপনি এমবিএ সার্টিফিকেট কিনেছিলেন, পরে আর লেখেন না, এইচএস (উচ্চমাধ্যমিক) লেখেন। পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে এমবিএ সার্টিফিকেট কিনেছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই এমবিএ প্রতিষ্ঠানের কোনও অস্তিত্বই ছিল না।' সূত্রের খবর, রাজনীতিতে যোগদানের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে লেখাপড়া করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ের প্রসঙ্গ টেনেই তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এর আগে রাজ্যে নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সার্টিফিকেট নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী, রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তাঁর মনোনয়নপত্রে ভুয়ো শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুধু বিরোধী দলই নয়। দলের মধ্যে থেকে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। তারই মধ্যে এবার ভুয়ো শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সার্টিফিকেট বিতর্কে জুড়ল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।

আরও পড়ুন- ‘অর্পিতা গ্রেফতার হলে কেন আপনাদের নেতা নয়?’, অভিষেকের পর সোচ্চার মমতা

তবে, বুধবার অবশ্য অভিষেকের এই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তোপ এসেছে কথা প্রসঙ্গে। মঙ্গলবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন কয়লা পাচারকারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শুভেন্দু। তার জবাব দিতে গিয়ে বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের আগের বক্তব্যে অনড় থাকেন। নিজের ফোন নম্বর ক্যামেরার সামনে প্রকাশ করে শুভেন্দু জানান, তিনি সকলের ফোন ধরেন। তিনি নিজে কোনও কয়লা পাচারকারীকে ফোন করেননি। কেউ তাঁকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেছেন। গোটা ব্যাপারটাই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা এবং সাজানো ঘটনা বলেই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

dilip ghosh abhishek banerjee Suvendu Adhikari
Advertisment