লকডাউনে বাংলায় আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদের সুরক্ষা ও উপযুক্ত যত্ন নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতই বাংলাতে আটকে পড়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের সন্তানদের রাখা হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি হোমে। এইসব হোমে পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানরা কী অবস্থায় রয়েছেন সেই রিপোর্ট আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
নির্দেশে উল্লেখ, কোভিড-১৯ এর জেরে রাজ্য়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছেন। অসহায় অবস্থায় রয়েছেন তাঁদের পরিবার ও সন্তানরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের পরিবার ও সন্তানদের দেখভাল করতে হবে। এছাড়াও যেসব শিশুদের এই যত্নের প্রয়োজন রয়েছে তাদেরও চিহ্নিত করে দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
আরও পড়ুন- বাংলায় লকডাউন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত, ঘোষণা মমতার
আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। লকডাউন অবস্থায় হোমের সুপাররা যেন তাঁদের কর্মস্থল ছেড়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিশু কল্য়াণ দফতরের প্রধান সচিবকে উল্লেখ করে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানিয়েছেন যে, 'হোমের পরিচ্ছন্নতা যেন বজায় থাকে। শিশুদের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধিতে যেন বিশেষ নজর দেন সুপাররা।'
এছাড়াও আদালতের নির্দেশ, লকডাউনের ফলে হোমে আশ্রয় পাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও দেখভাল নিশ্চিত করতে হবে হোম সুপারদের। আদালত জানিয়েছে, লকডাউনের ফলে অচেনা পরিবেশে আতঙ্কে দিন কাটছে এইসব শিশুদের। ফলে, নাচ, গান, আঁকা, যোগব্য়ায়মের মাধ্যমে শিশুমন থেকে ভয় দূর করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে ওইসব হোম সুপারদের।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন