Tangra Triple Murder Case Update: ট্যাংরা কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি। গ্রেফতার প্রসূন দে। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, তিন জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রসূনকে। আজ মঙ্গলবার তাঁকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হবে।
এদিকে মা কাকিমাকে চোখের সামনে খুন হতে দেখে ট্যাংরা কান্ডের জীবিত নাবালক প্রতীপ। ১৪ বছর বয়সী প্রতীপ দে বলেছে যে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা, নিছক কোন দুর্ঘটনা ছিল না বরং ছিল গণ-আত্মহত্যার মাস্টার প্ল্যান। যোগব্যায়ামের 'কৌশল' অবলম্বন করে সে নিজের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয় বলেও প্রতীপ দাবি করে। ট্যাংরা কান্ডের জীবিত নাবালক জানিয়েছে, মা ও কাকিমাকে খুনের পর, নিজের কাকা তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে।
পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতীপ তার কাকা ও বাবার থেকে জানতে পারে দেনার কথা। সে এও জানতে পারে মৃত্যু ছাড়া তাদের কাছে আর কোন উপায় নেই। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সামনে প্রতীপ অনেক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে।
কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, মা এবং কাকিমাকে বাঁচাতে না পারায় নাবালকের মধ্যে এখনও আক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু যখন কাকা প্রসূন দে তাকে খুন করতে আসে তখন শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বছর ১৪-এর কিশোর। যোগ ব্যায়ামের কৌশলকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচায় বলেও দাবি করে প্রতীপ। চোখের সামনে মা-কাকিমা ও দিদি প্রিয়ম্বদাকে চোখের সামনে খুন হতে দেখে এখনো আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাকে।