Taslima Nasreen: তসলিমা নাসরিনের বই নিয়ে আবারও বিরাট গোলমাল! বইমেলায় চলল দেদার ভাংচুর। কড়া বিবৃতি মুহাম্মদ ইউনূসের।
বারে বারে তার লেখা বইকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। হাজারো প্রতিবাদ তাঁর লেখাকে থামাতে পারেনি। নিজের ছন্দে দিব্যি লিখে গিয়েছেন একের পর এক বই। এবার নিজের দেশেই তসলিমা নাসরিনের লেখা বই স্টলে রাখাকে কেন্দ্র করে বাধে ধুন্ধুমার। ভাংচুর চালানো হয় বইয়ের প্রকাশক সংস্থা ‘সব্যসাচী’র স্টলে। গোটা ঘটনায় এবার কড়া বিবৃতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “বইমেলায় এই ধরনের আচরণ বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে, এই ঘটনা ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনাটি ঘটে তসলিমা নাসরিনের প্রকাশক সব্যসাচী পাবলিকেশনের স্টলে। তারা জানিয়েছেন, একদল প্রতিবাদকারী সব্যসাচী পাবলিকেশনে এসে প্রথমে চিৎকার শুরু করেন। কেন তসলিমা নাসরিনের বইটি স্টলে রাখা হয়েছে তা জানতে চান। পরে প্রকাশকের মারধর ও স্টল ভাংচুর করেন একদন উন্মত্ত ছাত্র। পুলিশের তরফে মাসুদ আলম বলেন, বইমেলায় গোলমালের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে বইমেলায় হামলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তসলিমা নাসরিন নিজেই ইনস্টাগ্রামে এমনই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তসলিমা নাসরিন X-এ লিখেছেন, বাংলাদেশের বইমেলায় প্রকাশক সব্যসাচীর স্টলে জিহাদি ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের আক্রমণ। বই প্রকাশ করাটাই আমার অপরাধ। তিনি আরওবলেন, বইমেলার কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় পুলিশ আমার বইটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেও, উগ্রপন্থীরা স্টলটিতে আক্রমণ করে, ভাঙচুর করে এবং স্টল বন্ধ করে দেয়। লেখিকা বলেন, সরকার চরমপন্থীদের সমর্থন করছে এবং জিহাদি কার্যকলাপ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।