আবারও বিস্ফোরক তথাগত রায়। বঙ্গে বিজেপির সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খুলে আদতে দলেরই অস্বস্তি তুঙ্গে তুললেন বর্ষীয়ান গেরুয়া নেতা। সুচিন্তিত পরিকল্পনা না থাকলে বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা কম বলেই মনমে করেন তিনি। এবিষয়ে তাঁর একটি টুইট ঘিরে রাজ্য বিজেপির অন্দরেই বাড়ছে চর্চা।
ঠিক কী লিখেছেন তথাগত রায়?
টুইটে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় লিখেছেন, ''ইডি ও সিবিআই চুরি ধরবে, তৃণমূলের মুখ চুন হবে ঠিকই। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে তখনই, যখন তারা একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে একটা ভবিষ্যতের চেহারা দেখাতে পারবে। সেই সঙ্গে সংগঠনের দিশেহারা অবস্থাও কাটিয়ে উঠতে হবে। নচেৎ এই রাজ্যের কপালে আছে চরম অরাজকতা।''
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ওই দিন নবান্ন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি নেতাদের। ১৩ তারিখ কলকাতায় কর্মী-সমর্থকদের বিপুল জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পদ্ম শিবির। দলের এই ধরনের বড় একটি কর্মসূচির ঠিক আগে খোদ দলেরই প্রবীণ নেতার এই ধরনের টুইটে কর্মীদের মনোবলে ধাক্কা লাগবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে বিরাট স্বস্তি অভিষেকের, সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা ED-র
একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতাদের। এসএসসি, প্রাইমারি টেট, গরু, কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতাদের একাংশের। এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়ে গরাদের পিছনে দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গরু পাচারে ফেঁসে জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও।
দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়ানোয় বিরোধীরাও কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে। রাজ্যজুড়ে 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগান তুলে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বামেরা। বিজেপিও 'দুর্নীতিগ্রস্ত' রাজ্য সরকার নিপাত যাক আওয়াজ তুলে বিক্ষোভের সুর আরও চড়া করছে। ঠিক এই আবহে খোদ বিজেপিরই এক সিনিয়র নেতার এহেন টুইটে বিজেপির শাসক-বিরোধী অবস্থানে যে অস্বস্তি বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।