মা তারার ভক্তদের জন্য সুখবর! ভক্তদের জন্য দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হচ্ছে। বীরভূমের তারাপীঠ মন্দির ও মা তারার মাহাত্ম্য লোক মুখে মুখে ফেরে। সারা বছরই ভক্তের সমাগম হয় বীরভূমের সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ মন্দিরে। কিন্তু অনেক ভক্তই কখনও সময় কখনও বা দূরত্বের কারণে তারাপীঠ মন্দিরে যেতে পারেন না। তাঁদের জন্যই এবার অবিকল তারাপীঠ মন্দিরের মতো দেখতে পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামে তৈরি হয়েছে আরও একটি তারা মায়ের মন্দির। এবার সেই মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামে রয়েছে দ্বিতীয় তারাপীঠের মন্দির। অবিকল বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরের মতো দেখতে এই মন্দির। ২০২১ সালে এই মন্দিরটির উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই মন্দির। দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসতেন মায়ের কাছে। অল্পদিনের মধ্যেই শুধু পূর্ব মেদনীপুর জেলাই নয়, এই মন্দিরের নাম ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
জোর কদমে এগোচ্ছে মন্দিরের সংস্কারের কাজ।
ফলে পাঁশকুড়ার প্রত্যন্ত চকগোপাল গ্রাম মায়ের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করে। মন্দিরের কারণে গ্রামের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিও হতে থাকে গোটা এলাকায়। কিন্তু তারপর হঠাৎই একদিন মন্দিরে তালা পড়ে।
আরও পড়ুন- মৃত্যু কেড়েছে স্ত্রীর আশা! মা-হারা একরত্তিকে বুকে আগলে সোনালী স্বপ্নের জাল যুবকের
বেশ কিছু সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মন্দিরের দরজা। অবশেষে সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে ভক্তদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হবে এই মন্দিরের দরজা। বীরভূমের তারাপীঠের আদলে পাঁশকুড়া চকগোপাল গ্রামের গড়ে উঠেছিল দ্বিতীয় তারাপীঠের মন্দির। ৫১টি সিঁড়ি বেয়ে মায়ের দর্শন করতে হয় এই মন্দিরে। মন্দির পরিচালক কমিটির সদস্যরা আশা করছেন, ভক্তদের জন্য এই দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়ার পর আবারও আগের মতোই ভিড় বাড়বে।
আরও পড়ুন- Premium: নেশা-পেশায় জোকারওয়ালা, দু’দশক ধরে কলকাতায় বড়দিনে সান্তা ফেরি সেলিমের
এমনকী মন্দির আরও খ্যাতি লাভ করবে বলেও তাঁদের আশা। পাঁশকুড়ার চকগোপাল গ্রামে এই দ্বিতীয় তারাপীঠ মন্দির আগামী দিনে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশা করছেন। আগামী দিনে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় পর্যটনের বিকাশ ঘটবে বলে অভিমত এলাকাবাসীর।