রাম নবমীর মিছিল ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেই হিংসার ছোঁয়া লাগল বাংলাতেও। হাওড়ার কাজিপাড়ায় রাম নবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে ব্যাপক হিংসা হয় এদিন বিকেলে। দফায় দফায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার ক্যারি রোড সংলগ্ন কাজিপাড়ায় এদিন রাম নবমীর মিছিল যাওয়ার সময় গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোষীদের খুঁজতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি এদিন রেড রোডের ধরনামঞ্চ থেকে মমতার হুঙ্কার, "দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশ যেন দোষীদের বিরুদ্ধে স্ট্রং অ্যাকশন নেয়। ভেবেছে হামলা চালিয়ে মামলা করে রেহাই পাবে। সেটা হবে না।" মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, "হাওড়ার মিছিলের জন্য রুট ঠিক করে দেওয়ার কথা ছিল পুলিশের। তারপরেও কেন গন্ডগোল হল! যদি কারও যোগসাজশ থাকে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন ‘১০৬ শতাংশ ডিএ দিয়েছি, আর কত চায়?’, মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে আন্দোলনকারীরা
এদিন হাওড়ার কাজিপাড়ায় অশান্তির পর এলাকায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে এলাকা। প্রচুর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আমি রাম নবমীর মিছিল আটকাতে চাই না। সবাই নিজের মতো করে ধর্মাচরণ করবে। কিন্তু বার বার কেন একটা সম্প্রদায়কে আক্রমণ করা হবে! এরা বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে ছক কষে দাঙ্গা করছে। আমরা দাঙ্গা পছন্দ করি না। দাঙ্গাকারীদের প্রশ্রয় দিই না। আমি ওঁদের দেশের শত্রু বলে ভাবি।"
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "কাউকে মিছিলের জন্য আটকানো হয়নি, তাহলে কেন সোর্ড-বুলডোজার নিয়ে মিছিল করবে! হাওড়ায় এসব করার সাহস কে দিল? বার বার বিজেপি হাওড়াকে টার্গেট করে। আর পার্ক সার্কাস এবং ইসলামপুরকে। এলাকায় এলাকায় সবাই সজাগ থাকুন।"
মুখ্যমন্ত্রীর কথার প্রেক্ষিতে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "ওঁর কথার জবাব দেব না। উনিই অশান্তির কারণ। শেষপর্যন্ত জানা গিয়েছে, কাজিপাড়া এলাকা থমথমে। এলাকা স্বাভাবিক করতে রুট মার্চ করছে পুলিশ।"