দুঃস্থ মহিলাদের আয়ের দিশা দেখাচ্ছে কচুরিপানা। জলাশয়ের এই কচুরিপানা শুকিয়েই তৈরি হচ্ছে নানা সামগ্রী। গৃহস্থের ঘর সাজাতে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নজরকাড়া একের পর এক জিনিস। ব্যান্ডেলের একটি সংস্থার উদ্যোগে এলাকার দুঃস্থ বেশ কয়েকজন মহিলাকে দেওয়া হচ্ছে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ। রাজ্যের নানা প্রান্তে মেলা-প্রদর্শনীতে শোভা পাচ্ছে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি নানা সামগ্রী। তা বিক্রি করেই আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন দুঃস্থ মহিলারা।
ব্যান্ডেল কেওটা ত্রিকোণ পার্কের একটি সংস্থার উদ্যোগে এলাকার দুঃস্থ মহিলাদের স্বনির্ভর করার প্রয়াস জারি। জলাশয়ের কচুরিপানা রোদে শুকিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। দুঃস্থ মহিলারা আয়ের খোঁজ পাচ্ছেন। কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে ব্যাগ, জুয়েলারি, ফাইল, পেনদানি, ফুলের সাজি-সহ বিভিন্ন ধরনের ট্রে থেকে শুরু করে রকমারি সব দ্রব্য।
আরও পড়ুন- দিঘা ঘুরতে গিয়ে কাঁকড়া খেয়ে বিপর্যয়! সৈকত শহরে মৃত রামপুরহাটের তরুণী
সংস্থার উদ্যোগে আপাতত ২০ জন মহিলাকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের তৈরি জিনিস বিভিন্ন প্রদর্শনী, মেলায় পাঠানো হচ্ছে। কচুরিপানা দিয়ে মহিলাদের হাতে তৈরি রকমারি এই সামগ্রীর কদর বাড়ছে। মেলা থেকে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি সামগ্রীর বিক্রিও বাড়ছে। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এই সব দুঃস্থ মহিলারা। তাঁদেরও কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
এলাকার দুঃস্থ মহিলাদের স্বনির্ভর করতেই এই উদ্যোগ বলে জানালেন সংস্থার কর্ণধার তাপস বৈদ্য। কেওটা ত্রিকোণ পার্কে তাঁর তিনতলা বাড়িতেই কর্মশালা গড়ে তুলেছেন তাপসবাবু। ওই বাড়িতেই তিনি থাকেন। ভবিষ্যতে এলাকার আরও মহিলাকে আয়ের দিশা দেখাতে চান তিনি।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন