আনিসের পর এবার মেহরাব। ফের কাঠগড়ায় পুলিশ। আবারও যুবক-মৃত্যুতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। যুবক-মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা।
অভিযোগ, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেহরাব আলি নামে ওই যুবককে তাঁর আমতার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এলাকারই বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, জোর করে বোমা বানানোর কাজে লাগানো হয় মেহরাবকে। যুবকের পরিবারের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় মেহরাব আলি নামে ওই যুবকের। থানায় এব্যাপারে অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ নিহত যুবকের পরিবারের।
বছর ত্রিশের মেহরাব আলিও হাওড়ার আমতার বাসিন্দা। আমতার আনিস খানের বাড়ি থেকে অবশ্য বেশ কিছুটা দূরেই তাঁর বাড়ি। ২৩ ফেব্রুয়ারি বোমা ফেটে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের দাবি, ওই দিন কয়েকজন মেহরাবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে বোমা বাঁধতে বাধ্য করা হয়েছিল মেহরাবকে। বোমা ফেটে মৃত্যু হয় যুবকের।
আরও পড়ুন- পথ দেখিয়েছে আনিস-আন্দোলন, তুহিনার মৃত্যু নিয়েও পথে নামার হুঁশিয়ারি বাম-কংগ্রেসের
মেহরাবের স্ত্রীর সম্মতিতে যুবকের দেহ কবর দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হলেও বিষয়টি নিয়ে পুলিশি পদক্ষেপ হচ্ছে না বলে মনে করছেন মেহরাবের বাবা। এর পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। মেহরাব আলির মৃত্যুতে সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ ওই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, আমতার আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয় রাজ্য। আমতা থানার পুলিশের বিরুদ্ধেই আনিসকে খুনের অভিযোগ তাঁর পরিবারের। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন আনিস মৃত্যুতে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে মিছিল করে। আলিয়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু-তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় সিট। এখনও আনিস মৃত্যুর তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য পুলিশের সিট।