রাজ্য সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। 'এবার লড়াই আইনি পথে', সন্ধেয় লালবাজার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মন্তব্য নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের। 'আমরা চোখে চোখ রেখে কথা বলব', পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান শুরুর মুখেই সাঁতরাগাছি থেকে আটক করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের। পরে আটক করা হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। আটক করে তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত লালবাজারেই আটকে রাখা হয়েছিল বিজেপি নেতাদের। সন্ধে নাগাদ তাঁদের লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
লালাবাজার থেকে বেরনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন শুভেন্দু-সুকান্ত। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, ''আমাদের ২০০-২৫০ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। ৫০-এর বেশি কর্মী হাসপাতালে। আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আজকের এই ঘটনায় নিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজির সঙ্গে আমার ও সুকান্ত মজুমদারের কথা হয়েছে। এবার আইনি লড়াই হবে।'' অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ''আমরা চোখে চোখ রেখে কথা বলব। এই লড়াই জারি থাকব।''
আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানের দিন বেধড়ক মার তৃণমূলের প্রধানকে, ‘ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে’, বললেন দিলীপ
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে এদিন তাঁদের দলের কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলে মামলা করে বিজেপি। বিরোধী দলনেতাকে অনৈতিকভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। ''সম্পত্তি যাতে নষ্ট না হয় দেখতে হবে প্রশাসনকেই।'' এদিন মামলার শুনানিতে এমনই জানিয়েছে আদালত। কে বা কারা আক্রান্ত হয়েছেন, পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে, বিস্তারিতভাবে তা আগামী সোমবার হইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি: সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ, সিআইডি-তেই আস্থা হাইকোর্টের