ছাত্র ভোট-সহ একগুচ্ছ দাবিতে এসএফআই-এর মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার-কাণ্ড বিধানসভায়। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এদিন মিছিল করে বামেদের এই ছাত্র সংগঠন। পুলিশের কড়া প্রহরা সত্ত্বেও এসএফআইয়ের একটি মিছিল এদিন পৌঁছে যায় বিধানসভার পশ্চিম গেটে। মিনিট ১৫ বিক্ষোভ দেখানোর পরেই গেট টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা এসএফআই কর্মীদের। টেনে-হিঁচড়ে তাঁদের নামায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় এসফআই কর্মী-সমর্থকদের। তুমুল বিক্ষোভ সামাল দিতে সৃজন ভট্টাচার্য, দিপ্সীতা ধরদের কার্যত চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
শুক্রবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামেদের এই ছাত্র সংগঠন। একাধিক দাবিতে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মিছিল ঘিরে এদিন ধুন্ধুমার-কাণ্ড বেধে যায়। এদিন হাওড়া, শিয়ালদহ থেকে এসফআইয়ের একাধিক মিছিল বের হয়। শিয়ালদহ থেকে একটি মিছিল কলেজ স্ট্রিট হয়ে পৌঁছে যায় ধর্মতলায়।
আরও পড়ুন- বনিকে ৯ ঘণ্টার প্রশ্নপর্বেও সন্তুষ্ট নয় ED, কুন্তলের সঙ্গে ‘মাখামাখি’ নিয়ে ফের তলব
সেখান থেকে বেশ কয়েকজন এসএফআই কর্মী-সমর্থক পৌঁছে যান বিধানসভা চত্বরে। আগেভাগে বিধানসভা-সহ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। এরই মধ্যে এসএফআইয়ের একদল কর্মী-সমর্থক পুলিশের নজর এড়িয়ে সোজা পৌঁছে যায় বিধানসভার গেটে। মিনিট ১৫ ধরে চলে তুমুল বিক্ষোভ।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজন বিধানসভার গেট টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এলাকায়। গেট চত্বরে থাকা ব্যারকিডে ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতে থাকেন দিপ্সীতা ধর-সহ অন্যরা। পুলিশ বাধা দিলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
আরও পড়ুন- ‘বনধ ডাকায় উনি তো চ্যাম্পিয়ন! এখন না বলছেন কেন?’ বেজায় টিপ্পনি দিলীপের
পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় তাঁদের। বেশ কয়েকজন এসএফআই কর্মীকে এদিন মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারতে দেখা যায় পুলিশকে। সৃজন-দিপ্সীতাদের কার্যত চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বহু এসএফআই কর্মীকে।
এসএফআইয়ের আরও একটি মিছিল এদিন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ চত্বরে আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসেই শুরু হয় স্লোগানিং। বাম ছাত্রনেতা প্রতীকউর রহমান এদিন বলেন, 'আমরা মিছিল করব বলেছিলাম, করেছি। বিধানসভায় যাব বলেছিলাম, গেছি।'
আরও পড়ুন- হেফাজতে কেষ্টর ‘মিষ্টি’ আবদার, হতবাক ইডি গোয়েন্দারা, তারপর…?