/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/ramendu-majumder.jpg)
বাংলাদেশের নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
উত্তাল বাংলাদেশ। দুর্গা মন্ডপ, মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে লাগাতার আন্দোলন চলছে সে দেশে। পথে নেমেছেন অগুনিত মানুষ। প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এমন ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। প্রবীণ নাট্যকারের বক্তব্য, 'প্রকৃত অপরাধীদের বিচার না হলে এমন ঘটনা বারে বারে ঘটবে। এইসব ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলই সমর্থন করে বা প্রশ্রয়-আশ্রয় দেয়।'
আন্তর্জাতিক নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'পাকিস্তান আমলে চৌমুহনী কলেজে আমি তিন বছর পড়িয়েছি। ওই এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায়ের বাস, হিন্দুদের ব্যবসাও আছে। কোনওদিন সেখানে গোলমাল হয়নি। এসব হঠাৎ কিছু নয়, একেবারে পরিকল্পনা করে সেখানেও ঘটনা ঘটানো হল। দুপুর ২টো থেক ৫টা পর্যন্ত, ৩ ঘণ্টা ধরে তান্ডব চলল। সেই সময় পুলিশের কোনও দেখা পাওয়া যায়নি। হিন্দুদের নামে গুজব ছড়িয়ে আক্রমণ করা হল। আমি মনে করি, আগের এমন নানা ঘটনায় কোনও বিচার হয়নি। সত্যি অপরাধীদের বিচার না হলে বারে বারে এমন ঘটনা ঘটবে। এমন ঘটনা সব রাজনৈতিক দলই সমর্থন করে বা প্রশ্রয়-আশ্রয় দেয়।'
আরও পড়ুন-Exclusive: ‘ধর্মের নামে রাজনীতি হলে ধর্মের নামে সন্ত্রাসও হবে’, বললেন শাহরিয়ার কবীর
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে হিংসায় গ্রেফতার ৪৫০, দোষীদের কঠোর শাস্তি চান শেখ হাসিনা
প্রশ্ন উঠেছে একেবারে হঠাৎ করেই কি এই আক্রমণ? নাকি পূর্ব পরিকল্পনা? কুমিল্লার ঘটনার পরই একে একে মন্ডপ, মন্দির, হিন্দুদের ওপর আক্রমণ শানানো হয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না আশি পেরোনা রামেন্দুবাবু। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার বলেন, 'গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল। সরকার সতর্ক ছিল। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল দুর্গাপুজো। অষ্টমীর দিন কুমিল্লায় দিবালোকে ঘটনা ঘটে। এত মানুষ জড় হয়ে গেল। স্পষ্ট ইচ্ছা করেই তা করা হয়েছে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/bangladesh-1.jpg)
সামগ্রিক আক্রমণের ঘটনার পর বাংলাদেশে সমাজের নানা স্তর থেকে প্রতিবাদ, মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশে সংস্কৃতির বিকাশে অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে রামেন্দু মজুমদারের। প্রবীণ এই নাট্য ব্যক্তিত্বের মতে, 'একমাত্র প্রতিবেশীরাই পারে এই ধরনের হিংসা থেকে মুক্ত রাখতে। তাঁরা এগিয়ে এলেই বন্ধ হতে পারে হামলা।' রমেন্দু মজুমদার বলেন, 'সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক সমাজ ঘটনার প্রতিবাদ করছে। প্রতিবাদ ছাড়া আর কি করতে পারি! আমি চাই, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে আপোষ করে রাজনীতি এসেছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এক প্রতিনিধি দল কুমিল্লা ও চৌমুহনী যাবে। ঢাকা থেকে গিয়ে এর থেকে বেশি কী করতে পারি? প্রতিবেশীরা এগিয়ে না এলে এটা বন্ধ হবে না।'
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন