রাতের অন্ধকারে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধরে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তির একজনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বীরভূম পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "১৫ জানুয়ারি দু'জন পড়ুয়া আহতের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সুলভ কর্মকারকে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র।"
আরও পড়ুন: রাজনীতি করবেন না, জম্মু কাশ্মীর পরিদর্শনকারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের স্পষ্ট বার্তা মোদীর
বিশ্বভারতীতে এসএফআইয়ের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে অচিন্ত্য বাগদী এবং শাব্বির আলিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুলভের খোঁজে চলছিল তল্লাশি। প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিষয়ে আলোচনা সভায় এসে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে এসএফআইয়ের ঘেরাওয়ের এক সপ্তাহ পরেই এই আক্রমণ চালানো হয়েছিল। আহত এসএফআই সদস্যদের অভিযোগ ছিল যে হামলাকারীরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় ছাত্র পরিষদের ছাত্র। ক্যাম্পাসে পরিদর্শনকালে স্বপন দাশগুপ্তকে ঘেরাও করে বাম ছাত্ররা যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল, তাঁর প্রেক্ষিতেই এই আক্রমণ চালায় এবিভিপি, এমন অভিযোগও ওঠে।
আরও পড়ুন: বহিরাগতদের হঠাতেই বিক্ষোভকারীদের কম্বল কাড়া হয়েছে, সাফাই পুলিশের
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে অচিন্ত্য বাগদি বলেন যে তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর অন্তর্ভুক্ত। তবে টিএমসিপির তরফে এই অচিন্ত্যযোগ অস্বীকার করা হয়। তাঁরা বলেন, যে অভিযুক্তরা এর আগে তৃণমূলের সদস্য থাকলেও, সম্প্রতি তাঁরা এই সংগঠন ত্যাগ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সিএএ-এর সমর্থনে ব্যাখ্যা দিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ঘেরাও হন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সাংসদের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিশ্বভারতী চত্বরেই বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে শান্তিনিকেতনে প্রায় সাত ঘন্টা আটক থাকেন স্বপন দাশগুপ্ত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। এই ঘটনার তদন্ত করতে শুক্রবারই একটি তিন-সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী।
Read the story in English