Advertisment

Modi Cabinet 3.0: কেন শান্তনু-সুকান্তই মন্ত্রী হলেন? বঙ্গ BJP নতুন 'কাঁধে'! সুকান্তর পর এবার কে?

BJP: এবারও কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেই সঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও মন্ত্রী করেছেন মোদী-শাহরা। কোনও আদিবাসী সাংসদ বা জঙ্গলমহল থেকে নির্বাচিত কোনও সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। জল্পনা ছিল তমলুকের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। বিজেপির এমন সিদ্ধান্তে বেশ কয়েকটি কারণ দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।

author-image
Joyprakash Das
New Update
This time too BJP did not make anyone from West Bengal as full minister

Sukanta Majumdar-Shantanu Thakur: সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর।

Modi Cabinet 3.0: এবারও কেন্দ্রে পূর্ণ মন্ত্রী জুটলো না বাংলার। ২০১৯-এ ১৮টা আসন পেয়েও প্রথমে দু'জনকে 'হাফমন্ত্রী' করা হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক মন্ত্রী করা হলেও পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়নি। এবার মন্ত্রী করা হল বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বালুরঘাটের সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। কোনও আদিবাসী সাংসদ বা জঙ্গলমহল থেকে নির্বাচিত কোনও সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান পাননি। জল্পনা ছিল তমলুকের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। বিজেপির এমন সিদ্ধান্তে একাধিক কারণ দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisment

দক্ষিণবঙ্গে রাণাঘাট ও বনগাঁ, পাশাপাশি এই দুই পুরনো আসন ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। এই দুই কেন্দ্রেই ভোটারদের বড় অংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। বনগাঁ কেন্দ্র থেকে ফের জয়ী হয়েছেন মতুয়া সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আরেকটি সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

একটা সময় মতুয়ারা তৃণমূলের দিকেই বেশি ঝুঁকেছিল। সেই ভোটবাক্সে ভাগ বসায় বিজেপি। মতুয়া সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট রাখতে ফের শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জঙ্গলমহলে আদিবাসী ভোট ব্যাংকে ধ্বস নামলেও মতুয়ারা ফিরিয়ে দেয়নি মোদী-শাহকে। সিএএ ইস্যুতে মতুয়াদের মন ভাঙানো যায়নি বলে মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- Train Cancellation: এখবর আগে পড়ুন! আবারও ট্রেন বাতিলের ঘোষণা রেলের, এবার মাত্রা ছাড়াবে দুর্ভোগ?

অন্যদিকে জঙ্গলমহলে এবার বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। এই তিনটে আসন ধরে রাখতে পারেনি পদ্মশিবির। বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়া থেকে জয়ী হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে অধিকারী গড় থেকে জয় পেয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও সৌমেন্দু অধিকারী। তাছাড়া দক্ষিণবঙ্গে চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। জঙ্গলমহলে আদিবাসী ভোট যে বিজেপি ধরে রাখতে পারেনি তা এবারের ফলাফলে স্পষ্ট। আলিপুরদুয়ার থেকে এবার বিজেপির মনোজ টিগ্গা ও মালদা উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন খগেন মুর্মু। তাঁদের কেউ মন্ত্রীত্ব পাননি। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে মন্ত্রী করেছে মোদী শাহরা।

আরও পড়ুন- Digha: পর্যটকদের জন্যই অভূতপূর্ব বন্দোবস্ত দিঘায়! যুগান্তকারী এই উদ্যোগের দুরন্ত প্রশংসা!

বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেখানে টার্গেট স্থির করে দিয়েছিল ৩০-৩৫টি আসন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা তো দূরের কথা পুরনো আসনই ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে, তাহলে কি এবার রাজ্য সংগঠনে পরিবর্তন হবে। সুকান্ত মজুমদার সহ যে রাজ্য কমিটি বিজেপি গঠন করেছিল তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ ছিল।

আরও পড়ুন- Premium: কেউ ডাক্তার তো কেউ স্কুলের গণ্ডিও পেরোননি! বাংলার ৪২ সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানুন

পুরনো নেতৃত্বের অধিকাংশকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এবারের নির্বাচনে তাঁদের মাঠে-ময়দানেও দেখা যায়নি। বিভিন্ন জেলা সংগঠনের সভাপতিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে একটা সময় পদত্যাগের হিড়িকও পড়েছিল। তাহলে কি ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য ও জেলা বিজেপি সংগঠনে ব্যাপক বদল আনতে চলেছে দল? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে।

West Bengal Suvendu Adhikari Modi Cabinet Shantanu Sukanta Majumder loksabha election 2024
Advertisment