Susanta Ghosh assassination bid: পরিকল্পনা করেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে। এর আগেও দু-দুবার খুনের চেষ্টা হয়েছিল ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। তৃতীয় বার খুনের চেষ্টায় ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়। ভিনরাজ্য থেকে আসে শার্প শুটার এবং আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিতে বদলে ফেলা হয় হামলায় ব্যবহৃত স্কুটির নম্বর প্লেট।
তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তর উপর হামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে মূলচক্রী-সহ ৫ জনই বিহারের বাসিন্দা। গুলজারকে জেরা করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, আগেও দু'বার তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল শার্প শুটাররা। কিন্তু সুশান্ত ঘোষ সবসময় জনবহুল এলাকায় থাকায় তাঁকে টার্গেট করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
আরেকবার টার্গেট কলকাতার কাউন্সিলর শুনে প্রথমে পিছিয়ে যায় সুপারি কিলাররা। বাংলায় আসার পরই শুটারদের মোবাইল ফোন জমা নিয়ে নেয় গুলজার। তার বদলে তাঁদের হাতে নতুন মোবাইল এবং সিম কার্ড তুলে দেয়।
আরও পড়ুন খুনের চেষ্টার পিছনে জমি বিবাদ? তৃণমূল কাউন্সিলার 'গুণ্ডা' বিস্ফোরক দাবি ধৃতের
পুলিশ সূত্রে দাবি, সুশান্তকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল বিহারের কুখ্য়াত দুষ্কৃতী পাপ্পু চৌধুরির গ্য়াংকে। গ্য়াংয়ের চার সদস্য় কলকাতায় আসে খুনের উদ্দেশে। অপারেশনের আগে তাদের হাতে পৌঁছে যায় আগ্নেয়াস্ত্র। গ্য়াং মেম্বারদের নম্বর মোবাইলে অন্য় নামে সেভ করে, কোড ল্য়াঙ্গোয়েজে কথা বলত তারা। পাপ্পু গ্য়াংয়ের সদস্য়দের একাধিক ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। বিহার ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং বাংলা, এই ৫টি রাজ্যে ওই দুষকৃতীর নেটওয়ার্ক রয়েছে।
এবার কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলিকাণ্ডের পর থেকে চূড়ান্ত তৎপরতা নিয়ে ফেলেছে পুলিশ। কলকাতা শহর জুড়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে চালু হয়ে গেছে নাকা চেকিং। রবিবার সন্ধ্যা থেকে চালু হয়ে গিয়েছে এই পুলিশি তৎপরতা। রাত ৬টা থেকে ৮টা এবং রাত ১টা থেকে রাত ৩টে। দুই পর্বে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।