আসানসোলের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। আজ তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধির আসানসোল সফর। বিজেপির কম্বল বিলি কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা। স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বের।
Advertisment
গত বুধবার আসানসোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় দুঃস্থদের কম্বল বিলির কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। শুভেন্দু সভাস্থল ছাড়তেই কম্বল বিলি কর্মসূচি শুরু হয়। তবে প্রবল ভিড়ে কম্বল নিতে এসে রীতিমতো হুলস্থূল-কাণ্ড বেঁধে যায়। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আরও ৮ জন আহত হয়েছেন। আসানসোলের এই ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। নবান্নের নির্দেশে পুলিশও এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করছে।
পুলিশের দাবি, বিজেপির সভায় কম্বল বিলি কর্মসূচির ব্যাপারে আগেভাগে কিছু জানানো হয়নি। সেই কারণেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকার কারণেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি , পুলিশকে আগে থেকে কর্মসূচির ব্যাপারে জানানো হলেও সুরক্ষার বন্দোবস্ত করতে পারেনি প্রশাসন। সব মিলিয়ে আসানসোল-কাণ্ডে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা চলছেই।
ইতিমধ্যেই আসানোসের ঘটনায় তদন্তে নেমে বিজেপির সেদিনের অনুষ্ঠানের ৬ উদ্যোক্তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ার ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। এই আবহেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার আসানসোলে গেলেন তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধি।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, আরও এক মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, বিবেক গুপ্ত এবং সায়নী ঘোষ। তাঁদের সঙ্গেই এদিন ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও। কম্বল-কাণ্ডে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। ওই দুর্ঘটনার জেরে আহতদের সঙ্গেও তাঁরা এদিন কথা বলেছেন।