TMC did not field Arjun Singh from Barrackpore: বিজেপি থেকে ফেরা অর্জুন সিংকে ব্যারাকপুর থেকে লোকসভার টিকিট দিল না তৃণমূল। এবার ওই কেন্দ্র থেকে জোড়-ফুলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। ব্রিগেডের মঞ্চে অর্জুনের উপস্থিতিতেই পার্থর নাম ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের 'সেনাপতি'র হাত ধরে জোড়-ফুলে দলে প্রত্যাবর্তন হলেও অর্জুনের জায়গা যে তৃণমূলে পাকা নয় সেকথা স্পষ্ট।
উনিশের লোকসভা ভোটে প্রার্থী ঘোষণার ঠিক আগেই কালীঘাটের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং। সেবারও তাঁকে টিকিট দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে দীনেশ ত্রিবেদীর উপরই ভরসা রেখেছিলেন। ফলে দল ছাড়েন অর্জুন সিং। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। ব্যারাকপুর থেকে লোকসভা ভোটে পদ্ম প্রকীকে জয় পান।
এরপর কয়েক বছর পর ফের পদ্ম থেকে তৃণমূলে ফেরেন অর্জুন সিং। তবে বিজেপির প্রতীকে পাওয়া সাংসদ পদ ছাড়েননি। বিজেপিতে থাকাকালীন তো বটেই, তৃণমূলে ফিরেও প্রবল বিরোধীতার মুখোমুখি হতে হয় সাংসদকে। যার অগ্রভাগে ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। পার্থ সঙ্গে পেয়ে যান, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শাম, নোয়াপাড়ার বিধায়ক মঞ্জু বসু, বীজপুরের সুবোধ অধিকারী এবং আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমানকেও।
বাদ পড়েছেন অর্জুন। লড়াইয়ে দলীয় রাজনীতিতে তাঁর বিরোধী মন্ত্রী পার্থ। অর্জুন সিংয়ের কথায়, 'আমি পার্থ ভৌমিককে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। দল বললে প্রচারে নামবো। আমি সমর্থন, বিরোধিতা- সবই করি মন থেকে। শুভেচ্ছাও জানিয়েছি মন থেকেই। তবে টিকিট দেব বলে দেড়় বছর আগে দল আমাকে নিয়ে এসেছিল, এখন দিল না, যদি আগে বলে দিত তাহলে ভাল হত।' অর্থাৎ অর্জুন যে মন থেকে সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি তা পরিস্কার।
সেবার দল বদলেছিলেন, এবার অর্জুনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? বিদায়ী বিজেপি সাংসদের কথায়, 'আমি তৃণমূল করছি। নেত্রী যেটা ভাল মনে করেছেন সেটাই করেছি। এখন উনি দেখি কি বলেন।'
গুজব যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুন সিংকে রাজ্যের মন্ত্রী করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হতে হবে। অন্যদিকে কানাঘুষো খবর যে, অর্জুন তলে তলে বিজেপিতে ফেরার চেষ্টা করছেন। ব্যারাকপুর থেকে তিনি পদ্ম পতাকা না পেলে অন্তত তাঁর পুত্র তথা ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিং-কে প্রার্থী করা হতে পারে।
ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, 'এটা ব্যক্তির লড়াই নয়, এটা বিজেপির জনবিরোধী নীতি ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে মানুষের লড়াই। এতদিন অর্জুন সিং ছিলেন সাংসদ, এখন আমি লড়াই করব। আসা করব অর্জুন প্রচারে থাকবেন।'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি অর্জুন সিংকে বলেছিলাম ভয় পেয়ে ভুল জায়গায় গেলেন। আমার সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ ছিল। রাজ্য বিধানসভা থেকে রাষ্ট্রপতি ভোটে অর্জুন সিং দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দিয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্য যে, উনি তৃণমূলে গেলেও ওই অঞ্চলের বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার হয়নি।'