ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরের অভিযান নিয়ে বারে বারে প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শহিদ দিবসেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে তোপ দেগেছেন তৃণণূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী শুক্রবার ইডির হানা দেওয়ার সময়ও তৃণমূলের মুখপাত্ররা ইডি-সিবিআইয়ের কার্যকলাপ নিয়ে বিজেপিকে দুষেছেন। কিন্তু রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহিলার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হতেই তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে এর দায় নেবে না দল। দলের নাম জড়িয়ে যে প্রচার চলছে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে টুইট করে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এর আগেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে দল দায় নেবে না বলেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন। তখন মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ফিরহাদ হাকিম রে-রে করে উঠেছিলেন।
ফিরহাদ কুণালের কথার বিরোধিতা করে জানিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভার সহকর্মীর কোনও দায় তাঁরা এড়াতে পারেন না। যদি কিছু হয়েও থাকে তার দায় সবার। তবে এই মন্তব্যের পরও কুণাল পাল্টা মন্ত্রী হওয়া নিয়েই কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার কুণালের টুইটের পর এখনও তৃণমূলের কোনও নেতা-মন্ত্রী তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করেননি।
আরও পড়ুন- নাকতলার পুজোর মুখ ছিলেন অর্পিতা, অভিনেত্রীর সঙ্গে পার্থর ‘ঘনিষ্ঠতা’ কীভাবে?
কুণাল টুইটে লিখেছেন, 'ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাদের নাম এসেছে, এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে।' তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দল শুক্রবারের তদন্তে কোনও দায় নেবে না।
আরও পড়ুন- বেনজির জিজ্ঞাসাবাদ, একটানা ২৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পার্থর বাড়িতে ED
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহিলার বাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকা, ৫০ লক্ষ টাকার গহনা-সহ নানা নথি উদ্ধার হয়েছে। ইডি মনে করছে, এসএসসি দুর্নীতি নিয়োগ মামলার সঙ্গে এই টাকার যোগ রয়েছে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব। স্বভাবতই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দল এবার আরও দূরত্ব তৈরি করছে। ফেঁসে গেল দল তাঁর কোনও দায় নেবে না বলেই কুণাল স্পষ্ট করেছেন টুইটে। এবার কিন্তু দলের অন্য কেউ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করে রাজ্যের মন্ত্রীর পাশে দাঁড়াননি।