TMC: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূল নেতার ডাকা সালিশি সভায় এক তৃণমূলেরই কর্মীকে পরিবার নিয়ে সমাজচ্যুত করার নিদান। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রামে।
তৃণমূল নেতার ডাকা সালিশি সভার নিদান, "ওই পরিবারের সঙ্গে কেউ কথা বললে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা। এমনকী কোনও দোকানের জিনিসও পরিবারটিকে বিক্রি করা যাবে না। এমনকী ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলেও গ্রামের ওষুধের দোকান থেকেও তাঁদের ওষুধ বিক্রি করা যাবে না! যাওয়া বন্ধ মসজিদেও।" এই ইদেও নামাজ পড়েননি ওই পরিবার।
এবার গোটা ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল সমর্থক ওই পরিবারটি। অভিযোগ জমা পড়েছে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের দফতর ও থানাতেও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। তবে এখনও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি বলেই দাবি ওই পরিবারের। নিজে তৃণমূল কর্মী হয়েও তৃণমূল নেতারই দাপটে এখনও গ্রামে ঢুকতে পারছেন না তাঁরা।
সমাজচ্যুত পরিবারের সদস্য আজাহার শেখ বলেন, "জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ঝামেলা হয়। এরপর থেকে আমাদের পরিবারের সদস্যদের সালিশি করে সমাজচ্যুত করে। সম্প্রতি ইদের নামাজ পরতে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করে ধাক্কাধাক্কি করে তাড়িয়ে দেয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানালে প্রণনাশের হুমকি দিচ্ছে। রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে মারধর করে জিনিসপত্র ভেঙে দেয়। পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আমরা ওদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। সমাজে ফিরতে চাই।"
আরও পড়ুন- Congress: বাংলায় কংগ্রেসের ভবিষ্যত সুতোয় ঝুলছে! শিবরাত্রির সলতে হয়ে আর কতদিন জ্বলবেন অধীররা?
দক্ষিন মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, "সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস চারিদিকে তোলাবাজি-গুন্ডামি চালাচ্ছে। এটা তাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।"
অন্যদিকে, রাজ্যের সেচ ও উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, "প্রশাসন অলরেডি এটা দেখছে। ওইভাবে কোনও ব্যাক্তিকে দেখতে পারে না। আইনগতভাবে সমাজচ্যুত করতে পারে না। যে ঘটনা ঘটেছে পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।"