দলের বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটূক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। শেষমেশ তৃণমূল উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মতুয়া ভক্তরাও! যদিও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মাঠে নেমেছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর দাবি, সাংসদ পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যই কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এটি গুরুতর কোনও বিষয় নয় বলেই তাঁর দাবি।
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় সোমবার ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ছিল তৃণমূলের। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতাবালা ঠাকুরের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করেন। এমনকী বৈঠক শেষে মমতাবালা ঠাকুর বাইরে বেরোলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীল-সহ আরও কয়েকজন মমতাবালা ঠাকুরকে নিচু-জাতের মহিলা বলে কটাক্ষ করেন এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন বলেও অভিযোগ। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই মর্মে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূলকর্মী গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, "মাকে (মমতাবালা ঠাকুর) গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।"
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates:'এত লুকোনোর কী আছে?', ষষ্ঠ পে কমিশন নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিকে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার বলেন, "মমতাবালা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করেছিলেন। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি ওঁকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।" যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, একুশে জুলাই-এর প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলায় কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এটি তেমন গুরুতর কোন বিষয় নয় বলেই তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন- TMC: 'শুভেন্দুর সঙ্গে যোগ, দলে সর্বনাশ ডাকছে', দাপুটে TMC বিধায়ককে তুলোধনা দলেরই তাবড় নেতার
অন্যদিকে, তৃণমূলের সভায় মমতাবালা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটূক্তি নিয়ে বনগাঁর BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, "ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কী বলবেন? মমতাবালা ঠাকুর হাঁড়িকাঠে গলা দিয়েছেন, কী হবে বুঝতে পারছেন না। ওঁর লজ্জা, ঘৃণা, ভয় কিছুই নেই।" যদিও এই বিষয়ে মমতাবালা ঠাকুর নিজে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।