Advertisment

নারকেলডাঙায় প্রোমোটিং-বিবাদে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, কাঠগড়ায় TMC বিধায়ক পরেশ পাল

তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল ও শাসকদলের এক কাউন্সিলরের মদতেই হামলার অভিযোগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tmc mla and councilor allegedly beaten pregnant woman in narkeldanga kolkata

ছবির ডানদিকে, আক্রান্ত তরুণী। বাঁদিকে, হাসপাতালের বাইরে বিজেপি নেতৃত্ব।

নারকেলডাঙায় হুলস্থূল-কাণ্ড। প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, স্থানীয় এক কাউন্সিলর ও তাঁদের অনুগামীরা। আক্রান্ত মহিলার পরিস্থিতি সংকটজনক। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরেশ পাল।

Advertisment

নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস। তাঁর দাবি, প্রোমোটিংয়ের বিষয়ে কথা বলতে তাঁদের ডেকেছিলেন বিধায়ক পরেশ পাল ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার। বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচয় দিয়ে জনা কয়েক ছেলে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে যায়। তবে বিধায়ক বা কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে যেতে রাজি হননি শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাস।

এরপরেই তাঁদের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ ও শাসকদলের কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ কয়েকশো যুবক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে শিবশঙ্কর দাসের ছেলে দীপক দাসকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। প্রাণ বাঁচিয়ে কোনওমতে দৌড়ে গিয়ে থানায় গিয়ে নালিশ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে দাবি। উল্টে শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলেকেই পুলিশ গ্রেফতার করে। কোর্ট থেকে জামিন নিতে হয় তাঁদের।

আরও পড়ুন- নিম্নচাপ সরতেই ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল দশা, ফের ঝেঁপে বৃষ্টি কবে থেকে?

শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলের অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এমনকী দীপক দাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারা হয় বলেও অভিযোগ। সেই মারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিধায়ক পরেশ পাল ও স্থানীয় কাউন্সিলরের নির্দেশে তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে ধোঁয়া, ‘দমবন্ধ’ অবস্থায় জরুরি অবতরণ, হুলস্থূল কাণ্ড কলকাতা বিমানবন্দরে!

যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন পরেশ পাল। উল্টে তাঁর দাবি, তিনি শিবশঙ্কর দাস নামে কাউকে চেনেন না। অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশকেই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন পরেশবাবু। অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, তিনি কাউকেই ডেকে পাঠাননি। তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগা করা হচ্ছে বলেও দাবি কাউন্সিলরের। উল্টে এই গন্ডগোল শরিকি বিবাদের জেরেো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কাউন্সিলর।

যদিও তৃণমূলের বিধায়ক ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় সোচ্চার বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব আক্রান্ত পরিবারটির সঙ্গে দেখা করেছেন। বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী ও অন্য নেতারা আক্রান্ত মহিলাকে দেখে এসেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সোমবার নারকেলডাঙা থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি।

kolkata news TMC MLA tmc
Advertisment