জামাইষষ্ঠীর দিনই আদালতে হাজিরা। আর সেইদিনই শ্বশুরবাড়ি থেকে ভালমন্দ খাবার, প্রসাদ এসেছিল। জামাই আর কেউ নন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। কিন্তু আদালতের নিয়ম বড় কড়া। সেই খাবার বিধায়ককে দেওয়ার অনুমতি দিল না পুলিশ। অগত্যা জামাইষষ্ঠীতে লুচি মুখে উঠল না জীবনের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার জীবনকৃষ্ণ-সহ আটজনকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। ভারপ্রাপ্ত সিজিএমের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন জীবনের বউ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা বাড়ি থেকে জীবনকৃষ্ণের জন্য লুচি-প্রসাদ এবং গোটা ফল এনেছিলেন। অনেকে মনে করছেন যে ষষ্ঠীপুজোর প্রসাদ এনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই খাবার জীবনকে দেওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আদালতের নিয়ম, এই ভাবে বন্দিকে বাইরের খাবার দেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন আর মুখে নয়, এবার অভিষেকের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা খোদ শুভেন্দুর!
এদিন আদালত জীবনকৃষ্ণ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ আটজনের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য. গত ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে ৬৫ ঘণ্টা জেরা ও তল্লাশি চালানোর পর গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং অসহযোগিতার অভিযোগে তৃণমূল বিধায়কককে গ্রেফতার করে সিবিআই।
জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে তাঁর সুপারিশে চাকরি হওয়া প্রার্থীদের নথিপত্রের পাশাপাশি এসএলএসটির নিয়োগ প্রক্রিয়ার ডেটাবেস পাওয়া গিয়েছিল তল্লাশি চালিয়ে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৩,৪০০ প্রার্থীর তথ্য উদ্ধার হয়। এদিন জীবনকৃষ্ণ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ আটজনের জেল হেফাজতের মেয়াদ ১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।