দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হলেন বিধায়ক মদন মিত্র। শুক্রবার মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। মোটরবাইক চালিয়ে বেলঘরিয়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। সেই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
জানা গিয়েছে, মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে চোট পান মদন মিত্র। সমর্থক-অনুগামীরা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করেন। রাস্তার ধারে চেয়ারে বসিয়ে তাঁর সেবা-শুশ্রূষা করা হয়। তাঁর হাঁটুতে চোট লাগায় সেখানে ব্যান্ডেজ করতে হয়।
সংবাদমাধ্যমকে মদন জানিয়েছেন, "খুব জোর বেঁচে গিয়েছি। মাথাটা পিছনের চাকা আর সামনের চাকার মাঝে পড়ে গিয়েছিল। এক বার এগোলেই বিপদ ঘটে যেত। তাই মাথা বের করার চেষ্টা করি প্রথমে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।" কিন্তু কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন তা স্পষ্ট ভাবে জানাননি বিধায়ক। তবে অল্পের উপর দিয়ে জোর বাঁচা বেঁচে গিয়েছেন দাদা, এতেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন অনুগামীরা।
সাধারণত সারাক্ষণই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন রোজই অনুরাগীদের খবরাখবর দিয়ে থাকেন তৃণমূল বিধায়ক। শুক্রবারও তাই করেছেন তিনি। একটি অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও করছিলেন তিনি। তখনই জানা যায়, পথ দুর্ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন ট্রাফিক বিধি ভাঙলেই এবার মোটা টাকা জরিমানা
এদিকে, কিছুদিন আগে ফেসবুক লাইভে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আমি কোনও ফেসবুক লাইভ, ইনস্টা বা কোনওভাবেই কোনও সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আসব না। যদি বলেন কেন? তুমি কি কোনও অপরাধ করেছ? বলব, না। তোমার বিরুদ্ধে কি কোনও শ্লীলতাহানি, অশ্লীলতার অভিযোগ আছে? না। তোমার কি টিআরপি কমে যাচ্ছে? না। তোমার ফেসবুক লাইভ বা ইনস্টা বলে কি মানুষ রেগে যায়? না। অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে বা বয়স্ক মায়েরা কী রেগে উঠে চলে যায়? আমি বলব না।’
এরপরই মদনের সংযোজন, ‘তাহলে আমি ছাড়ব কেন? আমার কাছে কোথাও থেকে একটা নির্দেশ বা ইঙ্গিত এসেছে যে মদন মিত্র তুমি ফেসবুক ছেড়ে দাও। বেশি ফেসবুক কোরো না। যদি বেশি ফেসবুক করো তোমার ফেসলুকের যে গ্ল্যামার সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই যখন নির্দেশ এসেছে আমি করব না।’