Advertisment

প্রাণ বাঁচাতে থানায় তৃণমূল বিধায়ক, বিজেপি নেতার মেয়ের 'অপহরণে' অশান্ত লাভপুর

সপুত্র লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। ইন্দাস হয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারী জনতার রোষের মুখে পড়ে যান তিনি। হঠাৎ বিক্ষুব্ধ জনতার টার্গেট হয়ে ওঠেন বিধায়ক মণিরুল ইসলাম।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সময় যত গড়িয়েছে ক্রমশ বিক্ষোভের পরিধি বিস্তৃত হয়েছে।

প্রবল জনরোষের মুখে পড়লেন লাভপুরের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। বিজেপি নেতার মেয়ের 'অপহরণে'র জেরেই এই ঘটনা। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শনিবার বিকেলে থানায় আশ্রয় নিলেন মণিরুল। এদিন নিজের গ্রামের খুব কাছ থেকে কার্যত পালাতে হয়েছে তাঁকে। সমগ্র ঘটনার নেপথ্যে লাভপুরের তরুণী প্রথমা বটব্যালের 'অপহরণ'।

Advertisment

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সশস্ত্র দু্ষ্কৃতিদের হাতে 'অপহৃত' হওয়া প্রথমা বটব্যালের খোঁজ মেলেনি এখনও। খবরে প্রকাশ, রীতিমত বাড়িতে চড়াও হয়ে বেপরোয়াভাবে ফিল্মি কায়দায় কানে বন্দুক ঠেকিয়ে বছর পঁচিশের তরুণীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, যা প্রত্যক্ষ করেন কিছু স্থানীয় মানুষ। এরপরই পথে নামেন লাভপুরের জনতার একাংশ। সময় যত গড়ায়, বিক্ষোভের পরিধি ক্রমশ বিস্তার লাভ করে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে রাজনাথের কাছে দরবার, হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন মুকুলের

জানা যাচ্ছে, প্রথমার বাবা সুপ্রভাত বটব্যাল হলেন বিজেপি নেতা। বিজেপি-র অভিযোগ, সুপ্রভাত বটব্যাল অতীতে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল তাঁর উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। বাড়িতে সুপ্রভাতবাবুকে না পেয়েই তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের।

Advertisment

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অশান্ত ছিল লাভপুর। বন্ধ থেকেছে লাভপুরের বাজারহাট, ব্যাহত হয় যান চলাচল। শুক্রবার বিক্ষোভের আগুন ছড়াতে শুরু করে চারপাশে। একদিকে যেমন কীর্ণাহার অবরুদ্ধ হয়, তেমনই কালকাপুর পর্যন্ত পৌঁছে যায় বিক্ষোভের আঁচ।

আরও পড়ুন: নিশানায় কেন্দ্র, প্রতিবাদে ফের মুখর মমতার কবিতা

এই ঘটনাকে ঘিরে ওই জেলার ইন্দাসেও মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে এখানেই। সপুত্র গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। ইন্দাস হয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারী জনতার রোষের মুখে পড়ে যান তিনি। হঠাৎ বিক্ষুব্ধ জনতার টার্গেট হয়ে ওঠেন বিধায়ক। এই সময় বিধায়কের দেহরক্ষীরা কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপরই ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসে পুলিশ। সংঘর্ষস্থল থেকে বিধায়ককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।

শনিবারও বীরভূমের প্রায় সর্বত্র টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ চলেছে। উত্তেজিত জনতার দাবি, "তাঁদের মেয়েকে" ফেরৎ চাই। যারা প্রথমাকে "নিয়ে গিয়েছে", তাদের হাতের কাছে চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন লাভপুর থানা ঘেরাও করেও তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয়। এলাকার অনেকে দাবী করেন, "তাঁদের মেয়ে কোথায়", সেই সন্ধান দিতে পারছে না পুলিশ। বরং সন্ধান চাইতে গেলে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসছে বাহিনী। এদিন পুলিশের সাথে রীতিমতো ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় বিক্ষোভকারীদের।

tmc
Advertisment