ইকো পার্কের সরকারি বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে ডাক না পেয়ে অভিমান উগরে দিয়েছিলেন রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজনীতি। সূত্রের খবর, তাপসের বিদ্রোহ নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ, তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অভিমান যে দল মান্যতা দেয়নি তা সাফ হয়েছে যায়। এরপর আর মুখ খোলেননি বিধায়ক। কিন্তু, ঘটনার প্রায় দু'সপ্তাহ পর রাজরহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জোড়-ফুলের সাংসদ।
হাওড়ার সাংসদ তথা প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় কালীপুজো উপলক্ষে রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তাপসকে প্রশাংসায় ভরিয়ে দেন। তাপস চট্টোপাধ্যায়কে 'শ্রেষ্ঠ নেতা' বলে আওয়াজ তুলেছেন প্রসূন।
তৃণমূল সাংসদ তাপস চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'তাপস আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি কাজ চালিয়ে যান। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বলছি রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় আপনার থেকে বড় নেতা আর কেউ নেই। আমার কাছে আপনিই বড় নেতা। তাপসকে বলি কেউ যদি দুঃখ দেন তাহলে সেও দুঃখ পাবেন। যেভাবে কাজ করছেন আপনি সেইভাবেই কাজ করে আরও এগিয়ে যান।'
বিজয়া সম্মিলনীতে ডাক না পেয়ে কী বলেছিলেন তাপস চট্টোপাধ্যায়?
‘আমি অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি নিজে আমন্ত্রিতও ছিলাম না। আমার কাজ বা স্ট্যাটাস বোধহয় এই ধরনের প্রোগ্রামে যাওয়ার উপযুক্ত নয়। দলে বাবু ও চাকরের মধ্যে আমরা বোধহয় সেকেন্ডটার মধ্যে পড়ি। যাঁরা বলেছিলেন আর ক’টা দিন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগম বলেছিলেন তাঁরা ডাক পান। আমি ডাক পাই না। দিনরাত পরিশ্রম করা অপরাধ কিনা জানি না। বিষয়টা খুব অপমানের। স্থানীয় বিধায়ককে বাদ দেওয়া হল। আমি সিপিএম থেকে এসেছি বলে হয়তো এখনও আমার বিশ্বাসযোগত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘তাপস দা সিনিয়র মানুষ। তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক। মনপ্রাণ দিয়ে তৃণমূল করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। স্নেহও করেন। অভিষেকও তাঁর উপর আস্থা রাখেন। কঠিন সময়েও সঙ্গে ছিলেন। বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন। তাপস দা যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন তবে তা মিটে যাবে, আমি নিশ্চিত। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব।’
আরও পড়ুন- ‘বেতন বন্ধ হতে চলেছে’, সরকারি কর্মীদের বিরাট আশঙ্কার কথা শোনালেন শুভেন্দু