এসএসসি দুর্নীতিতে এবার নিশানায় সৌগত রায়ও। বর্ষীয়ান এই তৃণমূল সাংসদও নাকি প্রায়শই যেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার আবাসনে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এনে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এমনকী বেলঘরিয়ায় অর্পিতার আবাসনে সৌগত রায়ের অফিস ছিল বলেও দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
Advertisment
টালিগঞ্জের পর পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে অর্পিতার ফ্ল্যাটে বসে শুধু টাকাই গুণে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ব্যাঙ্ক কর্মীদের আনিয়ে অত্যাধুনিক নোট গোনার মেশিনের সাহায্যে চলে টাকার পরিমাণ জানার কাজ।
শেষমেশ বৃহস্পতিবার সকালে ইডি জানায়, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে মিলেছে নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে ৬ কেজিরও বেশি সোনা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মেলা টাকার সবটাই ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের বাণ্ডিল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ওই বিপুল পরিমাণ টাকার সঙ্গে এবার সৌগত রায়েরও নাম জড়ালেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সাংসদের দাবি, সৌগত রায়ও নাকি প্রায়শই অর্পিতার ফ্ল্যাটে যেতেন। এমনকী সেখানে সৌগত রায়ের অফিসও ছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা।
টুইটে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ''অর্পিতার বেলঘরিয়া হাউজিং কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। সৌগত রায়, এমপি (টিএমসি) প্রায়ই ওই আবাসিক কমপ্লেক্সে যেতেন! ওখানে তাঁর অফিস ছিল! সময়ের সাথে সাথে তৃণমূল নেতাদের নোংরা মুখোশ ধীরে ধীরে খসে পড়ছে।'' যদিও দিলীপ ঘোষের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সৌগত রায়।
এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই বলেই দাবি করেছেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল সাংসদ। সৌগত রায়ের পাল্টা দাবি, ''ওই আবাসনের অন্য টাওয়ারে আমাকে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছিল। তার জন্য ভাড়া দিতাম মান । আমার নামে অফিসও নয়। আমাকে জড়ানোরা চেষ্টা করছে। ওকেঁ চ্যালেঞ্জে করছি, প্রমাণ করে দেখান। প্রমাণ হলে রাজনীতি ও সাংসদ পদ ছেড়ে দেব।''