আবারও বেফাঁস সৌগত রায়। এবার বিরোধীদের জুতোপেটা করার হুমকি বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদের। ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় বিজেপির দিলীপ-সুকান্তকে একযোগে নিশানা সৌগত রায়ের। দিলীপ ঘোষকে ফিটার মিস্ত্রি বলেও বেনজির আক্রমণ তৃণমূল নেতার।
ফের একবার বিরোধীদের কড়া বার্তা দিতে গিয়ে 'বেফাঁস' মন্তব্য করে বসলেন সৌগত রায়। সৌগত রায়ের বক্তব্যের আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই ভিডিও-রও সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও-য় বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে একযোগে নিশানা করেছেন সৌগত রায়। বিরেধীদের জুতোপেটা করার হুমকি সাংসদের গলায়। একইভাবে তাঁর রোষের মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররাও।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও-য় সৌগত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ''সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসেকে বলছি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না করলে এরপর আপনাদের কেউ জুতোপেটা করলে দুঃখ করবেন না। দিলীপ ঘোষ তো এইট পাস, ফিটার মিস্ত্রি।'' এরই পাশাপাশি দুর্নীতি ইস্যুতে সৌগত রায়ের রোষের মুখে পড়েছেন একদা তাঁরই সহকর্মী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘গরু পাচারকারী বলে জেলে পুরতে পারে CBI’, আশঙ্কায় রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী
এদিকে, তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্যে পাল্টা তাঁকেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ''উনি জানেন যে আগামীবার টিকিট পাবেন না। তাই মার্কস বাড়ানোর জন্য এমন বক্তৃতা করছেন। ওঁর বয়স হয়েছে, এসব ওঁকে মানায় না। সংযত হোন, না হলে জনগণ ওঁকে গণতন্ত্রের জুতোপেটা করবে।''
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ''সৌগতবাবু ইদানীং যা বলছেন ওঁর কথার মূল্য থাকছে না। আমার ধারণা, বয়স বাড়ছে বলে দলে গুরুত্ব কম পাচ্ছেন। সেই কারণেই এসব বলে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। চোর না বলে কি বলা হবে, তা বলে দিন।''
আরও পড়ুন- আজ ঝেঁপে বৃষ্টি জেলায়-জেলায়, প্রবল বর্ষণে ভাসবে কলকাতাও?
এর আগেও ভাইরাল হওয়া ভিডিও-য় বিরোধীদের তীব্র আক্রণ করতে শোনা গিয়েছিল সৌগত রায়কে। ওই ভিডিও-য় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''সিপিএম-বিজেপি চোর বললে আমরা চুপ থাকব না। কিছু লোক দুর্নীতি করে দলের বদনাম করেছে। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসকে বলছি, আপনারা এই ভুল করবেন না। তৃণমূলের দিকে তাকিয়ে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ বলবেন না। তৃণমূলের ৯৮ শতাংশ কর্মীই সৎ, ২ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত হলে আমরা বের করে দেব। তবে সিপিএম-বিজেপি যদি দিনের পর দিন আমাদের চোর বলে উত্যক্ত করে তাহলে কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবেন না। ওদের এলাকা ছেড়ে যেতে হবে।''