পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে আসতেই যেন বোমা, গুলি, সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। বাড়ছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অভিযোগ, মালদহের ইংরেজবাজার থানার কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি চলল গুলিও। রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
আচমকা এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে।
এমনকী শূন্যে গুলি চালিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে লক্ষ্মীপুর এলাকার তৃণমূলের কার্যালয়। ঘটনার পর ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকলহের জেরেই এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের ঘটনায় ‘তিতিবিরক্ত’ রাজ্যপাল, বিচারপতিকে উপযুক্ত সুরক্ষা দিতে নির্দেশ
লক্ষ্মীপুর তৃণমূল কার্যালয়ের দলীয় কর্মী রকি শেখের অভিযোগ, 'ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মাইনুল শেখ ও তার গুন্ডাবাহিনী এদিন তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায়। তখন আমরা সাত থেকে দশ জন ক্যারাম খেলছিলাম। প্রায় ১০০ জন দুষ্কৃতী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মইনুল শেখের নেতৃত্বে অতর্কিতে পার্টি অফিসে হামলা চালায়। গোটা পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। আমি তখন কার্যালয়ের ছাদের একটি ঘরে লুকিয়ে পড়ি। আমার চোখের সামনে ওই দুষ্কৃতীরা ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।' এই ঘটনার পর গ্রামবাসীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সেই সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, 'ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর এলাকার কি ঘটনা ঘটেছে এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে পার্টি অফিসে যদি কেউ কোনওরকম ভাবে হামলা চালিয়ে থাকে সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা পুলিশ নেবে।' ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।