৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে আর্থিক প্রতারণার মামলায় ধৃত হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি। শুক্রবার গ্রেফতারের পর শনিবার তাঁকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক তাঁকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
সিবিআই তাঁকে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করলেও এদিন রাজু নিজে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ''আমি এসবে যুক্ত নই, শীঘ্রই সব বুঝতে পারেবন'', সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর পথে এদিন সকালে এমনই বলেছিলেন সানমার্গ চিটফান্ড কর্তা তথা হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি।
শুক্রবারই এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৮০ লক্ষ টাকা। বান্ডিল-বান্ডিল এই টাকা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে তুলেছিলেন রাজু, এমনই দাবি সিবিআইয়ের। আজ তাঁকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ।
শুক্রবার এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের পর সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছিল। শনিবার সকাল ৮টার পর তাঁকে সিজিও থেকে বের করা হয়। এদিন আসনসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে রাজু বলেন, ''আমি এতে যুক্ত নই। শীঘ্রই সব বুঝতে পারবেন। আপনারা ভবিষ্যতে সব জানতে পারবেন।''
হালিশহরে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান প্রভাবশালী নেতা বলে পরিচিত রাজু সাহানি। সানমার্গ চিটফান্ডের নাম করে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন রাজু, এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শুক্রবার নিউটাউন থেকে রাজুকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তল্লাশিতে তাঁর বাড়িতে মেলে বান্ডিল-বান্ডিল টাকা।
আরও পড়ুন- ‘মমতা ব্যানার্জিকে দুর্নীতির রানি বলবেন না, পিঠে তাল পড়তে পারে’, বিরোধীদের চরম হুঁশিয়ারি সৌগতর
এমনকী তাঁর বাড়িতে মিলেছে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও, সেটির লাইসেন্স রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও সিবিআই সূত্রের দাবি, বিদেশের ব্যাঙ্কেও অ্যাকাউন্ট খুলে বিপুল টাকা রেখেছেন রাজু। ইতিমধ্যেই সেব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছে সিবিআই।
তৃণমূল পরিচালিত হালিশহর পুরসভার চেয়রম্যান রাজু। রাজুর বাবাও হলিশহর পুরসভার একজন কাউন্সিলর। সানমার্গ চিটফান্ডের ব্যবসা খুলে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন রাজু, এমনই অভিযোগ সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন- অসুররূপী বরুণদেব! উইকেন্ডের শপিং প্ল্যান ভেস্তে দিতে পারে বৃষ্টি
আর্থিক প্রতারণার মামলাতেই রাজুকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আত্মসাতের টাকায় সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন রাজু। হালিশহর-সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি শহর কলকাতাতেও একাধিক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি, এমনই খবর সূত্রের।