Kunal Ghosh removed from the post of Trinamool general secretary: দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষকে সরাল তৃণমূল। বুধবার বিবৃতি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
তৃণমূল ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, এর আগে দলের মুখপাত্র পদ থেকেও কুণালকে সরানো হয়েছিল। এবার তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও অপসারিত করা হল। কেন এই পদক্ষেপ? তৃণমূলের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে যে, 'সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন অনেক কথা বলছিলেন যা দলের মতামতের সঙ্গে মেলে না। তাই এটা বোঝানো অত্যন্ত দরকার ছিল যে, উনি যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ ভাবে তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। এর সঙ্গে দলের ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই।'
সংবাদ মাধ্যমকেও তৃণমূল অনুরোধ করেছে কুণালের বক্তব্যকে যেন দলের বক্তব্য হিসাবে গ্রহণ না করা হয়। সেক্ষেত্রে তৃণমূল আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
দলের নীতির পরিপন্থী কী এমন বলেছিলেন কুণাল ঘোষ?
গত রবিবার কুণাল একটি বিতর্কিত টুইট করেছিলেন যা ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ। তিনি লিখেছিলেন, 'দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দলবদল সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকেরা আমাদের দলের নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য। আর বিশ্বাসঘাতক দলবদলুদের গদ্দার বলা হলে সেটা আপত্তির!'
ঘনার সূত্রপাত তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেবের মন্তব্য ঘিরে। তিনি দাবি করেছিলেন যে, অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর পিতৃতুল্য। তাঁর সম্পর্কে ‘গদ্দার’ বলা হলে তাঁর আপত্তি রয়েছে। দেবের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই ছিল গত রবিবারের কুণাল ঘোষের পোস্ট।
এরপর বুধাবর সকালে উত্তর কলকাতার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরে মঞ্চে বিজেপির উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে হাডির ছিলেন কুণাল ঘোষ। সেখানে বক্তৃতায় কুণাল তাপকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। বলেন, 'তাপস রায় যত দিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তত দিন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। দিন-রাত তাঁর দরজা মানুষের জন্য খোলা থাকত। মানুষ যখন তাঁকে ডেকেছেন তখন পেয়েছেন।'
এরপরই বিকেলে কুণালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল।