দুর্নীতি ইস্যুতে ফের বিস্ফোরক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ''বাসের কনডাক্টর ছিল, হঠাৎ করে ৫০ বিঘা জমির মালিক হয়ে গেল, এটা হয়?'' ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যেরই এক মন্ত্রীর মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলে প্রথম দিন থেকে থাকা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিরোধীরাও। ''ওঁর মতো একজন রাজনীতিবিদ এখনও কীভাবে তৃণমূলে?'', প্রশ্ন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। ''আত্মগ্লানিতে ভুগেই একথা বলছেন শোভনদেব'', প্রতিক্রিয়া বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।
শাসকদলের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন খোদ দলেরই বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও-য় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, ''আমাকে ব্যবহার করে কেউ তাঁর নিজের সম্পদ বাড়াক, এটা চাই না। আমার গায়ে কেউ কালির দাগ ছিটিয়ে দিক, এটা চাই না। কিছু ছিল না, হঠাৎ করে অনেক কিছু হয়ে গেল। বাসের কনডাক্টর ছিল, হঠাৎ করে ৫০ বিঘার মালিক হয়ে গেল, এটা হয়? কোথা থেকে আসবে, কে দিচ্ছে টাকা?''
আরও পড়ুন- নোটিসে ভুল শুধরে ফের মেনকাকে তলব ED-র, আজই হাজিরার নির্দেশ
একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের একাংশের। এসএসসি কাণ্ডে জেলের পিছনে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। গরু পাচারের অভিযোগে জেল খাটছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়াও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলের একের পর এক নেতার নাম জড়াচ্ছে। তৃণমূলকে 'চোরেদের দল' বলে তোপ দেগে ময়দানে গলা ফাটাচ্ছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, দুর্যোগ কতদিন? জানাল হাওয়া অফিস
এই আবহে শাসকদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর মতো একজনের মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্যে স্বভাবতই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ''তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে বেমামান। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় একজন ব্যতিক্রমী। এখনও ওই দলটায় উনি কি করে আছেন? উনি ব্যতিক্রমী বলেই লাভজনক মন্ত্রিত্বের পদ হারিয়েছিলেন। উনি তৃণমূলে এখনও কীভাবে আছেন, সেটাই ভাবছি।''
অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ''শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখনও ভালো। তৃণমূলের অনেকেই যা চলছে তাতে আত্মগ্লানিতে ভুগছেন। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট এখন হরিশ ব্যানার্জি স্ট্রিট হয়ে যাচ্ছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এখনও তৃণমূলে কেন আছেন সেটা ওনার ব্যাপার। পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে শাসকদলের জন্য। শোভনদেববাবু আত্মগ্লানিতে ভগেই এই কথাগুলো বলেছেন বলে মনে হয়।''