Advertisment

'দিদির ডাকে স্কুলে বুড়ি ছুঁয়েই ধর্মতলায় নয়', নির্দেশিকা তৃণমূলের শিক্ষক সেলের

করোনার জেরে পরপর ২ বছর ভার্চুয়ালি ২১ জুলাইয়ের সভা করেছিল তৃণমূল। এবার ধর্মতলায় সভার তোড়জোড় তুঙ্গে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tmc teachers cell's guideline regarding 21 july Sahid Sabha

ফাইল ছবি।

করোনার জেরে পরপর ২ বছর ভার্চুয়ালি ২১ জুলাইয়ের 'শহিদ সভা'-র আয়োজন করেছিল তৃণমূল। তবে এবার আগের মতোই ধর্মতলায় সভা করার তোড়জোড় তুঙ্গে। রাজ্যজুড়ে ২১ জুলাইয়ের সভার সমর্থনে তৃণমূলের মিছিল, মিটিং, ক্যাম্পেনিং জারি রয়েছে।

Advertisment

শাসকদলের বিভিন্ন শাখার সমর্থকদের পাশাপাশি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনগুলি থেকেও সদস্যরা ধর্মতলার সভায় এসে ভিড় জমান। তবে এবার দলের শিক্ষক শাখার জন্য ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সভায় এলে স্কুল ছুটি নিয়েই আসতে হবে।

তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভার প্রচার এখন তুঙ্গে। রাজ্যের কোনায়-কোনায় শহিদ সভার প্রচার চলছে। এরাজ্যে তৃণমূলের দুটি শিক্ষক সংগঠন রয়েছে। একটি হল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি এবং অন্যটি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এই দুই সংগঠনের তরফেই রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সংগঠনের সদস্যরা ২১ জুলাইয়ের শহিদ সভায় যেতে চাইলে তাঁদের স্কুল ছুটি নিতে হবে। কোনওভাবেই স্কুলে এসে বুড়ি ছুঁয়ে ধর্মতলার সভার পথে পা বাড়ানো চলবে না।

আরও পড়ুন- ‘দখল নিতে নয়, ভালোবাসতেই আসব’, পাহাড়ে শান্তির বার্তা মমতার

দূরের জেলাগুলি থেকে যে শিক্ষকরা ধর্মতলার ২১ জুলাইয়ের সভায় আসেন, তাঁদের অধিকাংশই স্কুল ছুটি নিয়েই হাজির হন। তবে সমস্যা হয় কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে। অভিযোগ, অনেক শিক্ষকই ওই দিন স্কুলে এসে নামমাত্র সময় থেকেই ধর্মতলার পথে হাঁটা দেন। অনেকে আবার সভায় যাওয়ার নাম করেই স্কুল ছাড়েন। সেই প্রবণতা এড়াতেই এবার সচেষ্ট শাসকদলের দুই সংগঠন।

আরও পড়ুন- পাহাড় সাজাবেন মমতা, ঢালাও সাহায্যের আশ্বাস, GTA শপথে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী

তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, ''বেশ কিছু অভিযোগ আমরা পাই। কিছু স্কুল থেকে আমাদের সংগঠনের সদস্য না হলেও অনেকেই ২১ জুলাইয়ের সভার নাম করে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান। সভায় না গিয়ে সভার নাম করেই তাঁরা কেটে পড়েন। তবে এবার আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি, আমাদের সংগঠনের যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সভায় যেতে চাইলে স্কুল ছুটি নিয়েই যাবেন। বাইরে থেকে যাঁরা আসেন তাঁরা তো ছুটি নিয়েই আসেন। তবে সমস্যা হয় কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলির ক্ষেত্রে।''

জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পাশাপাশি শাসকদলের অন্য শাখা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির তরফেও এমনই একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

tmc West Bengal
Advertisment