এই টসে জেতা নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে টাই হওয়ায় ভোট গণনা কেন্দ্রে টস হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে হেড চাওয়া হয়। আর টসে হেড পড়তেই হইহই করতে শুরু করে তৃণমূলের প্রার্থীসহ দলের কর্মীরা। আর এই টস পদ্ধতির বিরোধিতা করে কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির প্রার্থী সমীর দাস।
রাজারহাট বিষ্ণুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খামার এলাকার ১৪৮ নম্বর পার্ট এর ভোট গননা হয়। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, ’ভোট গণনার পর তাঁকে জানানো হয় সে জিতে গিয়েছে। এরপরে রি-কাউন্টিং করানো হয়। অভিযোগ, দ্বিতীয় বার গণনায় একটা ব্যালট ছিঁড়ে ফেলে কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে তৃণমূলের সঙ্গে টাই হয়। আমার অনুমতি না নিয়ে টস করে নির্বাচন কমিশনের লোকজন ও ভেতরে যারা কাউন্টিং করছিল। এর পরিপেক্ষিতে আমরা কোর্টে যাব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আরও পড়ুন- তুফান তোলা সাফল্য তৃণমূলের! তাতেও ‘মনমরা’ বাবুল! কারণটা জানালেন নিজেই
বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 'আমি বারবার করে অনুরোধ করেছিলাম প্রার্থী নেই আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ওরা বলছে এটাই আমাদের নিয়ম। প্রার্থীর বদলে আপনি কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে সিদ্ধান্ত নিন। আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারব না আপনি লিখিত দিন। উনি আমাকে একটা লিখিত দিয়েছেন।'
আরও পড়ুন- মরিয়া রাজ্যপাল, এবার ‘ধর্মযুদ্ধে’র ডাক সিভি আনন্দ বোসের
তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট অসীম দাসের দাবি, 'গণনায় টাই হয়েছিল। রি কাউন্টিং করিয়েছি। বিপক্ষে যাঁরা ছিল তারাও দাঁড়িয়েছিল। তাঁরাও দেখেছে। ফের টাই হয়। এরপর দুপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়। ভেতরে যাঁরা অফিসার ছিল তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে দুপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টস হয়। টসে আমরা জয় লাভ করেছি। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।'
আরও পড়ুন- মারকাটারি সাফল্য তৃণমূলের! তাও কোন আক্ষেপ কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে মদনকে?
সূত্রের খবর, তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়প্রার্থী ৪১৩ টি করে ভোট পায়। এরপর পুনরায় গণনা করা হয়। তাতেও একই ফলাফল আসায় টস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টসে বিজেপি প্রার্থী সমীর দাসকে হারিয়ে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত দাস।