১৪ দিনের লড়াই শেষ! হাসপাতালে মৃত্যু হল নন্দীগ্রামে হামলায় আহত তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্নার। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। গত ২৭ মার্চ নন্দীগ্রামের বয়াল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুরে রাজনৈতিক হিংসায় গুরুতর জখম হন এই তৃণমূল কর্মী। এদিন তাঁর মৃত্যুর পর ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয় নন্দীগ্রাম।
কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ওই তৃণমূল কর্মীর। শুক্রবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। সন্ধেয় মৃত রবীন্দ্রনাথের দেহ কলকাতা থেকে নন্দীগ্রামে তাঁর বাড়িতে আনার কথা। দেহ আনতে ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।
আরও পড়ুন নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ, হাইকোর্টে যেতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
রবীন মান্নার মৃত্যুর জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছে তৃণমূল। সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, “শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে চেয়েছিলেন বলেই বয়াল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩ জনের উপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। মৃত রবীন্দ্রনাথের পরিবার অত্যন্ত গরিব। উনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। এটা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।”
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীর। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পালের দাবি, "মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। কিন্তু এই হামলার ঘটনায় বিজেপির কোনও হাত নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন তিনি।"