বিতর্ক মুছে নিয়োগে স্বচ্ছতায় মরিয়া পর্ষদ, দ্বিতীয় দফার ইন্টারভিউয়ে নজিরবিহীন ব্যবস্থা

স্বচ্ছ নিয়োগ মস্ত চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে।

স্বচ্ছ নিয়োগ মস্ত চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
fake call letter in primary interview booked three

প্রাথমিকে স্বচ্ছ নিয়োগে বদ্ধ পরিকর পর্ষদ।

এবার স্বচ্ছ নিয়োগে বদ্ধ পরিকর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আজ প্রাথমিক শিক্ষ পর্ষদের দ্বিতীয় দফার ইন্টারভিউয়ে নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ হল। 'একবার নম্বর দিলে আর পাল্টানো যাবে না', এবার স্বচ্ছ নিয়োগে অভূতপূর্ব একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন প্রাইমারি বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার।

Advertisment

আজ প্রাইমারি বোর্ডে দ্বিতীয় দফার ইন্টারভিউ হয়ে গেল। কলকাতা জোনের ২৮৫ জন চাকরিপ্রার্থীকে আজ ইন্টারভিউযের জন্য ডাকা হয়েছিল। প্রাথমিকে নিযোগে এর আগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগ দুর্নীতিতে সামিল থাকার অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

আরও পড়ুন- ‘এত সাহস কোন দুবৃত্তের, খুঁজে বের করতে হবে’, বিস্ফোরক মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Advertisment

এবার শুরু থেকেই নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। আজ কলকাতা জোনের ২৮৫ জন চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীরা আসার পর তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় বসানো হয়। ভেরিফিকেশন টেবিলে অফিসাররা ছিলেন। আবেদনকারীদের যাবতীয় তথ্য যাচাই করে যোগ্যদের ইন্টারভিউ বোর্ডে পাঠানো হয়। প্রতিটি বোর্ডে একজন বা দু'জন করে অফিসার ছিলেন।

এরপর ভেরিফিকেশন টেবিল থেকেই ইন্টারভিউ টেবিলের এক্সপার্টদের কাছে যোগ্য প্রার্থীদের পাঠানো হয়। এক্সপার্ট টেবিলে টোটাল মার্কস দেওয়ার ব্যাপারটাই হয় অনলাইনে। প্রাইমারি বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানান, প্রতিটা টেবিলে একটা করে ল্যাপটপ আছে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সপার্টরা চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করেছেন।

আরও পড়ুন- ভর সন্ধেয় ধুন্ধুমার বাবুঘাটে, পুলিশ এড়িয়েই গঙ্গা-আরতি সুকান্তর, পরে আটক

তিনজন এক্সপার্ট চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী নম্বর ইনপুট করেছেন অনলাইনে। নম্বর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটা সেন্ট্রাল সাইবারে চলে গিয়েছে। টোটাল ইন্টারভিউ হয়ে যাওয়ার পর কম্পিউটার জেনারেটেড একটা সিট বেরিয়ে এসেছে। যে এক্সপার্টরা ইন্টারভিউ নিলেন সেটা টেবিল ফরম্যাটে চলে আসে। সেটা যাচাই করে নিয়ে এক্সপার্টরা সই করে দিয়েছেন। অর্থাৎ, একবার নম্বর দেওয়া হলে দ্বিতীয়বার তা আর পাল্টানো যাবে না।

West Bengal Primary Teacher Recruitment Primary TET