প্রবল দাবদাহের মধ্যেই দেখা মিলল টর্নেডোর। রবিবার সকালে প্রচণ্ড গরমে রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। হঠাৎ করেই বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হলদিয়ার সিটি সেন্টার মোড় চত্বরের বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাস্তায় ঘূর্ণিপাক খাওয়া ধুলোর প্রবল ঝড় দেখতে পান বাসিন্দারা। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই তা ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন। এটিই হল টর্নেডো। স্থানীয়ভাবে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। যদিও এর জেরে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
Advertisment
সূর্যের প্রখর রোদের তেজে মাত্রাছাড়া গরমে নাভিশ্বাস দসা রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। এই পর্বে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গরমের জেরে কাল থেকেই রাজ্যের সরকারি স্কুল-কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও ছুটি দিতে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, রবিবার প্রবল এই দাবদাহের মাঝেই হলদিয়ায় দেখা মিলল টর্নেডোর। রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হঠাৎই হলদিয়ার সিটি সেন্টার মোড়ের বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাস্তায় ধুলো-ঝড় দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সূর্যের প্রখর রোদের তেজে মাটি অত্যন্ত গরম হয়ে গিয়েছিল।
এরই পাশাপাশি আশেপাশের বাতাসও গরম ছিল। প্রখর রোদে বাতাস গরম হয়ে শূন্য একটি জায়গা তৈরি হয়। শূন্য সেই জায়গাটি পূরণের জন্য প্রবল বেগে বায়ু ধেয়ে আসতে শুরু করে। এটিকেই বলা হচ্ছে টর্নেডো। যদিও এদিন এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।