বছর দুয়েক কার্যত ঘরবন্দি থাকার পর সবেমাত্র বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছিল। তবে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির সেই আনন্দ স্থায়ী হল না। কয়েক সপ্তাহ কাটতেই ফের করোনার করাল গ্রাস। অন্য একাধিক জায়গার পাশাপাশি তালা ঝুলেছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। সৈকতনগরী দিঘায় গত ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে রবিবার নবান্নের ঘোষণায় এক ঝটকায় সব আনন্দ যেন মাটি হয়ে গেল।
করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সোমবার তেকেই রাজ্যে জারি হয়েছে একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ। সোমবার সকাল থেকে দিঘার সমুদ্র সৈকতজুড়ে পুলিশি টহলদারি। জমায়েত দেখলেই সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
পর্যটকরাও সমুদ্রে নামতে না পেরে বেশ হতাশ। অনেকে হোটেল বুকিং থাকলেও বাড়ি ফিরছেন। কেউ কেউ মন খারাপকে সঙ্গী করেই সমুদ্র পাড়ের এদিক-ওদিক ঘোরার চেষ্টা করছেন। তবে তাতেও বাধ সাধছে পুলিশ। সমুদ্র সৈকত গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তৎপর দিঘা ও দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। পর্যটকদের সমুদ্র সৈকত থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
এদিকে, দূরদূরান্ত থেকে দিঘা বেড়েতে এসে ঘোর সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। সমুদ্র স্থান তো দূর অস্ত। সমুদ্রের পাড়ে থাকা দোকানে বসে চা-পানেও বাধা দিচ্ছে পুলিশ। বেজায় সমস্যায় হোটেল মালিকরাও।
আরও পড়ুন- রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক, জাতীয় সম্মান পেল ‘দুয়ারে সরকার’
রবিবার রাজ্য সরকার বিধি-নিষেধ আরোপের পর থেকে মুহুর্মুহু বুকিং বাতিল হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে দিঘার হোটেলগুলিতে বুকিং ছিল কানায়-কানায় পূর্ণ। তবে এক ঝটকায় সেসব যেন ভেস্তে যাওয়ার জোগাড়। আচমকা বিধি-নিষেধ জারির জেরে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন দিঘার হোটেল মালিকরা।