কান পাতলেই কাশ্মীরের বাতাসে ভারী বুটের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পরই রাজ্যর বিশেষ মর্যাদা হারিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ জম্মু কাশ্মীরে। আর তার ফলেই ভূস্বর্গের থেকে মুখ ফিরিয়েছে দেশের পর্যটকেরা। অন্যদিকে, কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখছে রাজ্যের শৈলশহর দার্জিলিং। ভূস্বর্গ নয়, বরং এ বছর পর্যটকেই ভরা থাকবে দার্জিলিং, এমন আশাতেই বুক বেঁধেছে পাহাড়।
জমজমাট হতে চলেছে রাজ্যের শৈল শহর। ছবি- সন্দীপ সরকার
পুজোর ছুটিতে অনেকেই ভুস্বর্গে পাড়ি দেওয়ার কথা ভাবলেও বর্তমানে সে আশায় বাধ সেধেছে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারার বাতিল হওয়া। ডাল লেকে নৌকাবিহার করার আনন্দ উপভোগ করার স্বপ্ন দেখে অনেকেই আগে ভাগেই বুকিং করে রেখেছিলেন প্যাকেজ। কিন্তু এই মুহুর্তে অশান্ত কাশ্মীরে ঘোরার প্ল্যান বাতিল করে দার্জিলিংই উপভোগ করতে চাইছেন পর্যটকেরা, এমনটাই খবর। জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কাশ্মীরে যাওয়ার আগাম বুকিং বাতিল করা হয়েছে উল্লেখযোগ্য হার শতকরা ৯০ শতাংশ বুকিং ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এর ফলে এই পর্যটন মরসুমে বিরাট ক্ষতির মুখে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসা।
আরও পড়ুন- তিন মাসেই ভগ্নপ্রায় তিস্তার বাঁধ, আতঙ্কে উত্তরবঙ্গের লক্ষাধিক মানুষ
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে দার্জিলিংয়ে বনধের জেরে কার্যত পর্যদুস্ত হয়েছিল গোটা বাংলার পর্যটন ব্যবসা। তবে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির ফলে 'পৌষমাস' দেখছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শিলিগুড়ির এক ট্যুর অপারেটার সম্রাট স্যান্যাল জানান, "কাশ্মীরের বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে পর্যটকরা যেতে চাইছে না সেখানে। তাই তারা বুকিং বাতিল করে দার্জিলিং বা সিকিমে আসতে চাইছেন। এর ফলে এ বছর পুজোতে পর্যটকের ঢল নামবে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ডুয়ার্সে"। শিলিগুড়ির এক হোম স্টে-র কর্ণধার প্রিয়দর্শিনী দাশগুপ্ত বলেন, "কাশ্মীরের ঘটনার পর দুরদুরান্ত থেকে বুকিং আসতে শুরু করেছে। যেভাবে বুকিং আসছে তাতে পর্যটন মরশুমে ব্যবসা ভাল হবেই বলে মনে হচ্ছে"।
আরও পড়ুন- শিলিগুড়ির ফুটপাথ রক্ষা ও যানজট সমস্যার সমাধানে এবার পথে নামবেন গৌতম দেব
তবে কাশ্মীরে এমন অবস্থা চলতে থাকলে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পের অবস্থা যেমন একদিকে তলানিতে ঠেকবে, অন্যদিকে এ রাজ্যের পাহাড় ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পের অবস্থারও প্রভূত উন্নতি হবে বলেই আশা রাখছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
শিলিগুড়ির সব খবর পড়ুন, এখানে