US Attacks Iran Nuclear Sites: হোয়াইট হাউসের ওয়্যার রুমে বসে গোটা অপারেশনে মনিটারিং করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন সেনা যখন ইরানে হামলা চালাচ্ছিল সেই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প situation room-এ বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। প্রেসিডেন্ট প্রতিটি সামরিক পদক্ষেপের উপর সরাসরি নজরে রেখেছিলেন।
অভিযানের পর ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের মহান যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বের আর কোনও সেনাবাহিনী এরকম নিখুঁত অপারেশন করতে পারত না। এখন সময় এসেছে শান্তি ফিরিয়ে আনার।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ইরান শান্তির পথ না বেছে নেয়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আরও তীব্র এবং সুনির্দিষ্ট।” একই সঙ্গে তিনি জানান, পেন্টাগনে একটি প্রেস কনফারেন্সে এই সামরিক অভিযানের আরও বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি ট্রাম্প বলেন, “আমি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক জোট হয়ে কাজ করেছি। আমরা এমন এক শত্রুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি যে শক্তি ইজরায়েলের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।” তিনি নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সামরিক কৌশলের কথা তুলে ধরেন।
রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের যৌথ পদক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ফোরডো, নতাঞ্জ এবং ইসফাহানের এই তিনটি কেন্দ্রেই ভয়ঙ্কর GBU-57 বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।
রবিবার একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা শান্তি চাই। কিন্তু যদি ইরান তা না চায়, তাহলে পরবর্তী হামলা হবে আরও অনেক ভয়ঙ্কর ও বিধ্বংসী।” তিনি জানান, এই হামলার পরিকল্পনায় তিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে “এক জোট হয়ে” কাজ করেছেন।
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।” জানা গেছে, হামলার ঠিক আগে রবিবার এক ফোনালাপে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ইরানে হামলার বিষয়ে আগাম জানিয়ে দেন।
কী বোমা ব্যবহার করল যুক্তরাষ্ট্র?
CNN-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলায় ব্যবহৃত হয় B-2 স্টিলথ বোমারু বিমান এবং GBU-57 ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (বাঙ্কার বাস্টার) বোমা। এই অত্যাধুনিক বোমা মাটির শত শত ফুট নিচে থাকা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সক্ষম এবং শুধুমাত্র B-2 বিমানেই তা বহন সম্ভব।