US Air Strikes on 3 nuclear sites Of Iran: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে। ফোরডো, নতাঞ্জ ও ইসফাহান পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার সরাসরি জড়িয়ে পড়ল আমেরিকা।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী পারমাণবিক কেন্দ্র – ফোরডো, নতাঞ্জ ও ইসফাহান–এ সফল হামলা চালিয়েছে।
ট্রাম্প আরও জানান, "এই হামলার মাধ্যমে আমেরিকা সরাসরি ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল, যার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পুরোপুরি ধ্বংস করা।" এই বিবৃতির পরই ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যার ফলে এই অঞ্চল জুড়ে আরও বড় সংঘর্ষ ছড়িয়েপড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই হামলার আগে আমেরিকা তার গুয়ামে বেশ কয়েকটি B-2 স্টেলথ বোমার জেট মোতায়েন করেছিল, যেটি হামলার প্রস্তুতির 'স্পষ্ট বার্তা' বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া Truth Social-এ জানান, “ফোরডো পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। এই কাজ পৃথিবীর আর কোনো সেনা বাহিনী করতে পারত না।” মার্কিন প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, B-2 স্টিলথ বোমার মাধ্যমে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। মার্কিন হাউস স্পিকার মাইক জনসন বলেন, "এই হামলা আমাদের শত্রু ও মিত্রদের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা বলেন তা তিনি করে দেখান।"
এই ঘটনার পর ইরান কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, “যদি আমেরিকা ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামে, তাহলে এর পরিণতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হবে।” বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে গোটা অঞ্চলজুড়ে বড়সড় যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে ইজরায়েল জানিয়েছে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে চলেছে ইজরায়েল। ইরানি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ইজরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩০ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৩,৫০০-এর বেশি। ইজরায়েলেও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২৪ হয়েছে।