Donald Trump: ভারতের ৬টি পেট্রোলিয়াম কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। কেন এই সিদ্ধান্ত?
ফের ভারতকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানির অভিযোগে ভারতের ৬টি পেট্রোলিয়াম কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই সংস্থাগুলি ২০২৪ সালে বিপুল পরিমাণে ইরানি পণ্য আমদানি করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে ওয়াশিংটন।
আমেরিকা ভারতের ছয়টি পেট্রোলিয়াম কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন বিদেশ দফতর জানিয়েছে, এই কোম্পানিগুলি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা জারি রেখেছিল। তারই প্রতিক্রিয়ায় এই ৬টি পেট্রোলিয়াম কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ফের ভারতকে বড় ধাক্কা আমেরিকার। ৬টি ভারতীয় পেট্রোলিয়াম কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে এই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ইরান থেকে নিষিদ্ধ তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানির অভিযোগ রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে ইরান তার আয়ের একটি বড় অংশ আঞ্চলিক সংঘাত উস্কে দেওয়ার জন্য ব্যয় করছে। পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার অভিযোগও করেছে আমেরিকা।
মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, "ইরান সরকার মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতকে উৎসাহিত করতে এবং অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করেছে। ইরানের রাজস্ব উৎস বন্ধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের বিভিন্ন সময়ে এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ইরানের সঙ্গে নিষিদ্ধ বাণিজ্যে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই সংস্থাগুলির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের ৬টি কোম্পানির পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ২০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অভিযোগ করেছে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলি জেনেশুনে ইরানি পেট্রোলিয়াম পণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাত করার জন্য "গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন" করছে, যা ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে।
আমেরিকা যে সকল ভারতীয় কোম্পানিগুলি নিষিদ্ধ করেছে তার মধ্যে রয়েছে দেশের কিছু শীর্ষ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি। সবচেয়ে বড় অভিযোগ অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে। অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করার অভিযোগ রয়েছে। গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের মিথানল সহ ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল কেনার অভিযোগ রয়েছে। জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড একই সময়ে ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের টলুইন সহ ইরানি পণ্য আমদানি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোং-এর বিরুদ্ধে ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের মিথানল এবং টলুইন সহ ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল কেনার অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল, বিশেষ করে মিথানল আমদানি করেছে। কাঞ্চন পলিমারস ১.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের ইরানি পলিথিন পণ্য কিনেছে।