Trump Tariff Impact Bangladesh: ট্রাম্পের ছোঁড়া শুল্ক বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন বিশ্বের একাধিক দেশ। ভারত, চিন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ একাধিক দেশের উপর বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছেন। বাংলাদেশি পণ্যের উপরে ৩৭ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা৷ এতেই কার্যত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ বস্ত্র শিল্পের মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে৷ ট্রাম্প বাংলাদেশের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে গভীর সংকট তৈরি করতে পারে।
ট্রাম্প বাংলাদেশ থেকে আসা তৈরি পোশাকের উপর দ্বিগুণ কর আরোপ করেছেন। ভারতের ক্ষেত্রেও এই কর বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে তা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। সহজ কথায়, আমেরিকায় বাংলাদেশি পোশাক এখন ভারতীয় পোশাকের তুলনায় দামি হয়ে উঠতে চলেছে। এতদিন বাংলাদেশের পোশাক তুলনায় সস্তায় পাওয়া যেত। এবার থেকে তা আরও দামি হয়ে উঠবে। এখন কম শুল্কের কারণে ভারতীয় পোশাক মার্কিন বাজারে টেক্কা দেবে বাংলাদেশি পণ্যকে। এর ফলে ভারতীয় পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থানের বন্যা বয়ে আসবে।
ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশ থেকে আসা পোশাকের উপর ৩৭% শুল্ক আরোপ করেছে, যেখানে ভারতের উপর শুল্ক ২৭% । মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা অনুসারে সকল রপ্তানির উপর পূর্বে ঘোষিত ১০% বেসলাইন ট্যারিফও কার্যকর থাকবে, যার ফলে বাংলাদেশের উপর মোট ট্যারিফ ৪৭% এবং ভারতের ক্ষেত্রে তা ৩৬% হবে। এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের পোশাক এখন আমেরিকায় ভারতীয় পোশাকের তুলনায় ১০ শতাংশ দামি হবে।
বাংলাদেশের আয়ের প্রধান উৎস পোশাক রপ্তানি। ২০২২ সালে, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের একটি বড় অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার, এবং এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এখন ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের পর, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের দাম অনেকটাই বাড়তে পারে। এর ফলে বাংলাদেশে একাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেখানে ২০২২ সালে ভারতের পোশাক রপ্তানি ছিল প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়েছিল।পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মহম্মদ ইউনূস। নতুন শুল্ক ব্যবস্থার প্রভাব কতটা পড়বে বাংলাদেশে তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।