উদয়পুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্যের সমর্থনে পোস্ট করায় উদয়পুরের এক দর্জি কানহাইয়া লালকে দিনেদুপুরে তাঁর দোকানে ঢুকে মুণ্ডচ্ছেদ করে দুই যুবক। পরে তা ভিডিও করে আপলোড করে। মহম্মদ রিয়াজ এবং ঘাউস মহম্মদ নামে দুই আততায়ী প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং নূপুর শর্মাকেও খুনের হুমকি দিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হলেও উদয়পুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
বুধবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান। লেখেন, "হিংসা এবং উন্মাদনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। যে কারণেই হোক। উদয়পুরে যা হয়েছে তার জন্য আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আইন আইনের মতো চলবে। আইনত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমি প্রত্যেকের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি।"
যে মন্তব্য নিয়ে এই খুন, তা নিয়ে কানহাইয়া পুলিশের কাছে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ফেসবুকে ভুল করে একটি আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করে তাঁর ছেলে। তাও আবার ফোনে গেম খেলার সময় এই ভুলটি হয়। যা নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না কানহাইয়ার। তার পর স্থানীয় কয়েকজন এই কমেন্টের বিষয়ে কানহাইয়াকে সতর্ক করলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।
এদিকে, রাজস্থানের এডিজি আইনশৃঙ্খলা হাওয়া সিং ঘুমারিয়া জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ৬০০ সশস্ত্র পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে রয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত এডিজি জঙ্গা শ্রীনিবাস, এম এন দীনেশ-সহ ৩০ জন রাজস্থান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা উদয়পুরে রয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন, যাতে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে। উদয়পুরে ১৪৪ ধারায় কার্ফু জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন দর্জির মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ উদয়পুর, গোটা রাজস্থানে বন্ধ ইন্টারনেট, তদন্তে NIA
টুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেছেন, “এই খুনের পিছনে যে বা যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ অপরাধের শেষ দেখে ছাড়বে।” যোধপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটা কোনও ছোট ঘটনা নয়। এটা যেভাবে করা হয়েছে, তা কল্পনার অতীত। ভাবনারও অতীত কেউ এভাবে কাউকে খুন করতে পারে। কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়।”