রাজারহাটের অভিজাত বৈদিক ভিলেজ রিসর্টে বঙ্গ বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। দলের মধ্যেই এই নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। যেখানে রাজ্যের শাসকদলের দুর্নীতি নিয়ে সরব বিরোধীরা, তখন প্রধান বিরোধী দল হয়ে কী ভাবে বিপুল খরচ করে অভিজাত রিসর্টে প্রশিক্ষণ শিবির হচ্ছে তা প্রশ্ন তুলেছেন দলের নেতারাই। এবার প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
কী নিয়ে অস্বস্তি পদ্মশিবিরের?
জানা গিয়েছে, সোমবার এবং আজ, মঙ্গলবার এই দুদিন প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আসেননি তিন সাংসদও। যা ঘিরে প্রবল অস্বস্তি বঙ্গ বিজেপির। এমনিতেই নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসলের উপস্থিতিতে এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে বিরাট হইচই। এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন বিজেপি বিধায়করা নিউটাউনে অভিজাত হোটেলে রাত্রিবাস করা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এবার দলের প্রশিক্ষণ শিবিরেই অনুপস্থিত শীর্ষ নেতারা।
জানা গিয়েছে, শিবিরে গরহাজির বনগাঁর সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, কোচবিহারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। আসেননি দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তা, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া এবং ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম।
আরও পড়ুন NCRB Data: রেকর্ড মৃত্যু লক-আপে, টানা দ্বিতীয়বার তালিকার শীর্ষে মোদীর রাজ্য গুজরাট
তবে প্রথম এবং দ্বিতীয়, দুইদিনই ছিলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। শান্তনু ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কাজে তিনি গুজরাটে রয়েছেন। শিবিরে যাননি, তাঁর কাছে এই কাজটা বেশি জরুরি। আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কি না তা নিয়ে শান্তনুর সাফ জবাব, "ওখানে গিয়ে কী হবে, যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁরাই করুন। আমরা তো আর পার্টির দায়িত্বে নেই। যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরাই চালান না। তাঁরাই তো সব চালাচ্ছেন।"
এ তো গেল শান্তনুর কথা। কিন্তু বাকিরা কেন এলেন না! জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিক মন্ত্রকের কাজে বাংলার বাইরে ব্যস্ত রয়েছেন বলে নাকি শিবিরে যোগ দিতে পারেননি বলে বিজেপি সূত্রে খবর। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গিয়েছে, বিজেপির কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তাঁদের। তিন সাংসদ প্রথম এবং দ্বিতীয় দিন ব্যক্তিগত কাজে থাকতে পারেননি। আগামিকাল, শিবিরের শেষদিনও থাকতে পারবেন কি না বলতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব।