টিকাকরণ কর্মসূচি ঘিরে জেলায় জেলায় বিশৃঙ্খলার ছবি। গতকাল ধূপগুড়িতে চরম বিশৃঙ্খলা হয় ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে। টিকা নিতে হুড়োহুড়ির ফলে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৮ জন। বিশৃঙ্খলার খবর আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কোমর বাঁধল নবান্ন। নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার ধূপগুড়ির দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলে টিকা নিতে ব্যাপক হুড়োহুড়ি হয়। স্কুলের গেট খুলতেই জনস্রোত ধেয়ে আসে ভিতরে। তাতেই হয় বিপত্তি। টিকা নেওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ির ফলে পড়ে গিয়ে আহত হন অন্তত ৩০ জন। ভিড়ের চাপে পড়ে আহত হন এক পুলিশকর্মী। আট জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের গাফিলতির দিকে আঙুল তোলেন অনেকে।
এই খবর নতুন কিছু নয়। এর আগেও জেলায় জেলায় টিকাকরণ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে এসেছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধেয় সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে তিনি প্রত্যেককে কিছু নির্দেশিকা দেন। নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতার মতো এবার জেলাতেও টিকার জন্য কুপন বিলি করা হবে। টিকাকরণ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে বিলি করা হবে কুপন। দু-তিনদিন আগে সেটা দেওয়া হবে। কুপন ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না, সাফ নির্দেশ নবান্নর।
আরও পড়ুন রাজ্যে সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু! একদিনে সংক্রমিত ৫৪৬, মৃত ১৩
এছাড়াও, ছোট পার্থমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বাদ দিয়ে বড় স্কুলভবনে টিকাকরণ শিবির আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় কন্ট্রোলরুম চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণ শিবিরে আরও পুলিশ মোতায়েন এবং তাদের সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি, দুয়ারে সরকারের মতো বুথে বুথে শিবির করে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি। সবশেষে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ-প্রশাসনকে আরও সজাগ হতে বলেছেন মুখ্যসচিব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন