Advertisment

বাংলা জুড়ে মালা হাতে জপ করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

রামনবমী উৎসবকে সফল করতে 'শ্রীরাম জয় রাম জয় জয় রাম' এই 'বিজয় মহামন্ত্র' ১৩ মালা জপ করার সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে ভিএইচপি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
vhp, ভিএইচপি

১ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করলেই ১৩ কোটি মালা জপ হবে। দেশব্যাপী এই কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

ভোট-বাজারে এবার রাজ্য জুড়ে জাঁকজমকের সঙ্গে রামনবমী উৎসবের পালনের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল- এই দু'দিন রাজ্যে রামনবমী উৎসব পালন করবে পরিষদ। শুধু তাই নয়, রামনবমী উৎসবকে সফল করতে 'শ্রীরাম জয় রাম জয় জয় রাম' এই 'বিজয় মহামন্ত্র' ১৩ মালা জপ করার সঙ্কল্প গ্রহণ করেছে ভিএইচপি। রামমন্দির নির্মাণের জন্য এই সঙ্কল্প অনুষ্ঠান হবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায়।

Advertisment

আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ১১ এপ্রিল লোকসভার ভোট। তারপর টানা ১৯ মে পর্যন্ত রাজ্যে ভোট প্রক্রিয়া চলবে। এরই মধ্যে রামমন্দিরের জন্য 'সঙ্কল্প অনুষ্ঠান' ও রামনবমী পালনের মধ্যে অনেকেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। বিশেষ করে বিগত কয়েক বছর রাজ্যে রামনবমী উৎসব পালনকে কেন্দ্র করে বহুক্ষেত্রে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বেশ কয়েকটি এলাকায় অশান্তির অভিযোগ সামনে এসেছিল। এরপরও ফের এ রাজ্যে 'মহাসমারোহে' সর্বত্র রামনবমী উৎসব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

আরও পড়ুন- অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে নোটিস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় শুরু হয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর পিছনে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। সে জন্যই ভোটের মরশুমে রামমন্দির নির্মাণের জিগির তুলে রামনবমী উৎসবের প্রস্ততি নেওয়া হবে রাজ্য জুড়ে। ভোটে প্রভাব ফেলতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

সৌরীশবাবু এই দুই অনুষ্ঠানের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, "রামমন্দির নির্মাণের জন্যই এই সঙ্কল্প অনুষ্ঠান। শ্যামবাজার, বাগবাজার, বরানগর, দক্ষিণেশ্বর, গড়িয়া, যাদবপুর-সহ নানা জায়গায় এই জপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। আর রামনবমী উৎসব প্রতিবছরই করা হয়। এবার আরও সাড়া জাগিয়ে রাজ্য জুড়ে উৎসব করা হবে।" তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই 'মহামন্ত্র' জপ করলে প্রস্তাবিত রামমন্দির নির্মাণের কাজ 'সিদ্ধ হবে' বলে মনে করছে পরিষদ। জপের পদ্ধতিও বলা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে। ১ মালা ১০৮ বার জপ। ১৩ মালা ১৪০৪ বার জপ। এক্ষেত্রে জপের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে এবং তা হল ১৫ মিনিট। জানা যাচ্ছে, ১ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করলেই ১৩ কোটি মালা জপ হবে। দেশব্যাপী এই কর্মসূচি নিয়েছে এই হিন্দু সংগঠন।

আরও পড়ুন- ‘পাহাড়ে প্রচার করতে সাহস পাচ্ছেন না কেউ’

কোথায় করা হবে এই সঙ্কল্প অনুষ্ঠান, তাও বাতলে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পাড়া, কোনও মন্দির, ধার্মীয়স্থান বা কারও বাড়িতে একত্রিত হয়ে জপ করলেই ভাল হয়। ব্যক্তিগতভাবে বাড়ির সকলকে নিয়েও অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। জপের স্থানে ভারতমাতা ও শ্রীরাম মন্দিরের ছবি থাকতে হবে। সেখানে কোনও একজন বক্তা উপস্থিত ব্যক্তিদের শ্রীরাম জন্মভূমি আন্দোলন নিয়ে অবগত করবেন। বাড়ি বাড়ি গৈরিক পতাকা উত্তোলন করার ডাকও দেওয়া হয়েছে।

VHP West Bengal
Advertisment