Foreign Secretary Vikram Misri Trolling: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও যুদ্ধবিরতি আবহে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম ট্রোলিং শুরু হয়েছে। তবে এবার দক্ষ এই আমলাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তি আক্রমণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সিনিয়র আইএএস ও আইএফএস অফিসাররা। তাঁরা সকলেই মিস্রির পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠার প্রশংসা করে একযোগে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সিনিয়র আমলাদের সংগঠন আইএএস অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,"বিদেশ সচিবের মতো একজন সজ্জন এবং নিবেদিতপন্থী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অনৈতিক ট্রোলিং একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
১৯৮৯ ব্যাচের সহকর্মীরা এবং অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকরাও তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রাক্তন বিদেশ সচিব নিরুপমা মেনন রাও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লেখেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণার জন্য বিক্রম মিস্রি এবং তার পরিবারকে ট্রোল করা অত্যন্ত লজ্জাজনক। একজন নিষ্ঠাবান কূটনীতিক হিসেবে তিনি বহু বছর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এই ধরনের আক্রমণ পুরো ব্যবস্থার অসম্মান।”
বিদেশ সচিব হিসেবে ৭ মে থেকে ১০ মে ২০২৫ পর্যন্ত অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন সময়ে একাধিক প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দেন বিক্রম মিস্রি। ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর, ভারত সশস্ত্র জবাব দেয় এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে অপারেশন চালানো হয়।
এই সামরিক পদক্ষেপের আন্তর্জাতিক ব্যাখ্যা ও সাংবাদিক সম্মেলনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন বিক্রম মিস্রি।
বিদেশ মন্ত্রকের এক শীর্ষ আমলা বলেন,"যুদ্ধবিরতির সময়ে দেশের কূটনৈতিক অবস্থান তুলে ধরতে বিক্রম মিস্রি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। এই ধরনের ট্রোলিং শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা সিস্টেমকে আঘাত করে।"
রাজনৈতিক মহলের তীব্র প্রতিক্রিয়া:
এই অনভিপ্রেত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেস ও AIMIM নেতারা। AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, "বিক্রম মিশ্রি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং পরিশ্রমী কূটনীতিক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দায় তাঁদের ওপর চাপানো উচিত নয়।"
কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট লিখেছেন, "একজন পেশাদার সিভিল সার্ভেন্ট ও কূটনীতিকের পরিবারকে টার্গেট করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এই ট্রোলিংয়ের তীব্র নিন্দা করছি।"